বিশেষ প্রতিনিধি

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কারণে, দেশের সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতি মরণব্যাধি ক্যান্সার এর রূপ ধারণ করেছিল।বিগত সরকারের সময়ে জন্ম নেওয়া মহা দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি, আমলা, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির মূল হোতা সালমান এফ রহমান, ব্যাংক কেলেঙ্কারির হোতা এস আলম গ্রুপ এর মালিক শামসুল আলম, ছাগল কাণ্ডে আলোচিত এনবিআর এর সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান, বন খেকো মোশারফ, বিসিএস প্রশ্ন ফাঁস কেলেঙ্কারির হোতা আবেদ আলী, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ, সিআইডি সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া গংদের অনিয়ম দুর্নীতির ফিরিস্তি একে একে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে আসার পর এইবার বেরিয়ে আসলো সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিশ্বস্ত সহযোগী দুর্নীতিবাজ এমপি মন্ত্রী আমলা রাজনৈতিক নেতা ব্যবসায়ী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের অনিয়ম দুর্নীতির টাকা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচারকারী অঘোষিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খ্যাত সিলেটের ভয়ংকর দানব সিরাজুল ইসলাম হাজারী ও রফিকুল ইসলাম হাজারী দুই সহোদর'র নাম।

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কয়েক হাজার টাকা পাচারকারী দুই সহোদর রফিকুল ইসলাম হাজারী ও সিরাজুল ইসলাম হাজারীর বিরুদ্ধে ২ ফেব্রুয়ারি-২০২৫ ইং তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংক ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিটে ইংল্যান্ডে কয়েক হাজার টাকা পাচারের বিষয়ে তদন্তের জন্য অভিযোগ করেন এক ব্যক্তি।বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া অভিযোগের সূত্র ধরে দীর্ঘ অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য প্রমাণের চুম্বক অংশ বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও পাঠকদের মাঝে তুলে ধরা হলোঃ- সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার,মীর বাজার ইউনিয়ন, চানপুর গ্রামের আফতাব আলী হাজারী ও আনোয়ারা বেগমের সন্তান সিরাজুল ইসলাম হাজারী ও রফিকুল ইসলাম হাজারী।বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিলেটের অঘোষিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবিদার ভয়ংকর দানব সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অসংখ্য দুর্নীতিবাজ এমপি মন্ত্রী আমলা, সরকারি কর্মকর্তাদের অনিয়ম দুর্নীতির অর্জিত কয়েক হাজার কোটি টাকা ইংল্যান্ড সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচারকারী সিরাজুল ইসলাম হাজারী ও রফিকুল ইসলাম হাজারীর জড়িত থাকার বিষয় সিলেট বিভাগে ওপেন সিক্রেট বলে জানান তাদের জন্মস্থান বিশ্বনাথের মীর বাজার এবং সিলেট শহরে বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দাদারা।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সিরাজুল ইসলাম হাজারী ও রফিকুল ইসলাম হাজারী ভাইদের টেন্ডারবাজি, দখলবাজী, চাঁদাবাজি, জুলুম, নির্যান, অত্যাচার এর মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকা এবং তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য সিলেট বিভাগের সর্বত্র বিরাজমান ছিল। এমনকি তৎকালীন সিলেট বিভাগের প্রশাসনের সর্বত্র একচ্ছত্র আধিপত্য ছিলো এই দুই ভয়ংকর দানবের।সিরাজুল ইসলাম হাজারী ও রফিকুল ইসলাম হাজারী ভাইদেরকে সিলেটের সাধারণ মানুষ ভয়ংকর দানব হিসেবে আখ্যায়িত করেন।তারা আরও বলেন মানিলন্ডারিং বা অর্থ পাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে দুই সহদর সিরাজুল ইসলাম হাজারী ও রফিকুল ইসলাম হাজারী গড়ে তুলেন সম্পদের পাহাড়।এমনকি মীরবাজার চানপুরে তাদের গ্রামের বাড়ি হাজারী মহলে তৎকালীন সময়ে প্রতিমাসে দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী এমপি আমলা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে সারারাত চলত রঙ্গমঞ্চ।

তৎকালীন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন সহ র‍্যাব এর সিলেট বিভাগের দায়িত্বরত ঊর্ধ্বতন অবাধ যাতায়াত ছিল হাজারী মহলের রঙ্গলিলায়।সিলেটের ভয়ংকর দানব খ্যাত কয়েক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারকারী সিরাজুল ইসলাম হাজারী রফিকুল ইসলাম হাজারী সাথে তৎকালীন সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম সহ অসংখ্য দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি, আমলা, পুলিশ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ীদের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থ পাচারের মাধ্যমে সিলেট বিভাগের ভয়ংকর দানব খ্যাত দুই সহোদর সিরাজুল ইসলাম হাজারী ও রফিকুল ইসলাম হাজারী ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে একাধিক বাড়ি বিলাসবহুল গাড়ি ও রেস্টুরেন্ট'র মালিক যাহা নিয়ে লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।লন্ডনে বসবাসরত সিলেটের শামীম আহমদ, কাউস মোল্লা, ইব্রাহিম মোল্লা সহ অসংখ্য বাংলাদেশীদের সাথে কথা বলে জানা যায় সিরাজুল ইসলাম হাজারী ও রফিকুল ইসলাম হাজার ভাইদের এই রাতারাতি উত্থানে তারা বিস্মিত। তারা আরো জানান ১০/১২ বছর ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করার পরে কোন বাংলাদেশী একসাথে এতগুলো বাড়ি গাড়ি ও রেস্টুরেন্ট মালিক হতে পারবেনা তারা দুই ভাই বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা অবৈধভাবে পাচার করে ইংল্যান্ডে এনেছে যাহা জঘন্য অপরাধ।

সিরাজুল ইসলাম হাজারী ও রফিকুল ইসলাম হাজারী'র দীর্ঘদিনের পরিচিত একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে জানান কত কিছুদিন আগে বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতিবাজ এমপি মন্ত্রীদের অনিয়ম দুর্নীতির রক্ষিত বাকি টাকা ইংল্যান্ডে পাচার করে নিয়ে আসার জন্য তাদের দুই ভাইয়ের স্ত্রীকে বাংলাদেশ পাঠান,কিন্তু বিধি বাম। সাংবাদিক ভাই আপনি তাদের দুই ভাই সিরাজুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম হাজারীর মুঠোফোনে তাদের বক্তব্য জানতে চাওয়ার পর পরই বাংলাদেশে অবস্থানরত স্ত্রী সালেহা পারভিন পপিকে দ্রুত বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ডে উড়িয়ে নিয়ে আসেন। বর্তমানে সিলেটের ভয়ংকর দানব বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারকারী সিরাজুল ইসলাম হাজারী ও রফিকুল ইসলাম হাজারী বসবাস করেন লন্ডনের Cromwell Road, Hayes, Middlesex নামক এলাকায়। ইংল্যান্ডের রাজধানীর লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশীরা বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারকারী সিলেটের দুই ভয়ংকর দানব সিরাজুল ইসলাম হাজারী ও রফিকুল ইসলাম হাজারীর শাস্তির দাবি জানান।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতিবাজ এমপি মন্ত্রী রাজনৈতিক নেতা ব্যবসায়ী আমরা পুলিশ কর্মকর্তাদের অনিয়ম দুর্নীতির কয়েক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা ও সিলেট বিভাগের টেন্ডারবাজি দখলবাজি অনিয়ম দুর্নীতি এবং সাধারণ মানুষদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে জানতে সিরাজুল ইসলাম হাজারী ও রফিকুল ইসলাম হাজারী ভাইদের ব্যবহৃত মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে এবং খুদে বার্তা পাঠানোর পরেও কোন প্রকার সাড়া না দিয়ে প্রতিবেদকের মুঠোফোন নাম্বার ব্লক করে দেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ইংল্যান্ডে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারকারী সিলেটের ভয়ংকর দানব সিরাজুল ইসলাম হাজারী ও রফিকুল ইসলাম হাজারী গংদের অনিয়ম দুর্নীতি ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টাকা পাচারের অনুসন্ধান চলমান,,,,,,,