মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধি
দেশে গণতন্ত্র উত্তোরণে বড় বাধা মব জাস্টিস
অতি প্রয়োজনীর সংস্কার শেষ করে আগামী ডিসেম্বর মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেয়ার এবং দেশে চলমান মব জাস্টিস তথ্য আইন হাতে তুলে নিয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর প্রবণতা রোধে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট।
৮ মার্চ ২৫ ইং শনিবার রাজধানী ঢাকার হোটেল রাজমনী ঈসা খাঁতে অনুষ্ঠিত ‘রাজনৈতিক দলের সম্মানিত নেতৃবর্গ, পীর-মাশায়েখ, ওলামা ও বুদ্ধিজীবী’র সম্মানে ইফতার মাহফিলে’ সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মতিন। তিনি বলেন, স্বৈরাচারের বিদায় হলেও দেশ এখনো প্রেতাত্মামূক্ত হয়নি। দেশে একটি অন্তর্বতী নির্দলীয় সরকার বর্তমানে দেশ পরিচালনা করছে অথচ সরকার পদে পদে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। আইন হাতে তুলে নিয়ে মব জাস্টিস যেভাবে চলছে তাতে শান্তিপ্রিয় দেশবাসী আজ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, দেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র উত্তোরনের পথে বড় বাধা মব জাস্টিস বন্ধে অবিলম্বে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এম এ মতিন আরও বলেন, জাতীয় সরকারের প্রতিটি অন্যায় গণবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইসলামী ফ্রন্ট সর্বদা সোচ্চার ও প্রতিবাদী ভূমিকায় ছিল। ভোটারবিহীন প্রহসনের কড়া প্রতিবাদ করেছি। বিগত সরকারের অবশ্যই কৃত কর্মফল ভোগ করতে হবে। প্রশাসন থেকে ফ্যাসিস্টদের কে তাড়িয়ে দিয়ে সৎ যোগ্য ও ন্যায় ব্যক্তিদের কে প্রতিটি সেক্টরে জায়গা করে দিতে হবে। তবেই দেশে সূশাসন ফিরে আসবে। সংস্কার এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইসলামী ফ্রন্ট অবস্থান তুলে ধরে এম এ মতিন বলেন, সব বিষয়ে সংস্কার করা অন্তবর্তী সরকারের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। তাই দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার পরিবেশ তৈরী করার তাগিদ দেন। ইসলামী ফ্রন্ট সহসচিব মাওলানা স উ ম আবদুস সামাদ জুলাই আগষ্ট অভ্যূত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপে বসার এবং সবার মতামত নিয়ে জুলাই সনদ ঘোষনার দাবিও জানিয়েছে ইসলামী ফ্রন্ট।
ইফতার মাহফিলে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট ফজলুর রহমান, সাবেক বিচারপতি জয়নাল আবেদীন, মহাসচিব শহীদুল্লাহ কায়সার, গণফোরামের মহাসচিব ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মুসলিম লীগের সভাপতি এডভোকেট শেখ জুলফিকার হায়দার, গণ অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ও মূখপাত্র মোহাম্মদ ফারুক হাসান, জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মামুনুর রশীদ মামুন, ড. একেএম মাহবুবুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা জসিম উদ্দিন আল আজহারী, পীর হানিফ নুরী, পীর সৈয়দ জুবায়ের কামাল সহ বিভিন্ন পেশাজীবীগণ।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্তি ছিলেন পীরে তরিক্বত আবু সুফিয়ান খান আলকাদেরী, এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ আব্দুর রহিম. গোলাম মাহমুদ ভূইয়া মানিক, এডভোকেট ইসলাম উদ্দিন দুলাল, কাজী মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন সিদ্দীকি আশরাফী, মাও. জহিরুল ইসলাম ফরিদী, ফজলুল করীম তালুকদার, মুহাম্মদ আবদুল হাকিম, মাস্টার আবুল হোসেন, এম মহিউল আলম চৌধুরী, মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম কাজল, মোহাম্মদ আলী হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম কাজল, মোহাম্মদ রিদওয়ান আশরাফী, মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, আবু নাছের মোহাম্মদ মুসা, আনোয়ার হোসেন, শাহেদুল আলম, আলমগীর ইসলাম বঈদী, হাজি মোহাম্মদ রুবেল, মাও. ইয়াসিন হায়দারী ও কাজী মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন নূরী প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.