রাস্তা ছাড়েন প্লিজ!
কই যাইবেন মিস?
ওষুধ আনতে ভাই!
আজ তোরেই চাই।
দোষটা কি আমার?
তুই রসের খামার।
কইরেন না সর্বনাশ!
এইটা আমার অভ্যাস!
অসুস্থ মা’টা বাসায়।
আমার কি আসে যায়!
মানুষ ডাকবো কিন্তু!
এখানে নাই জীব-জন্তু।
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দম!
চুপ! কথা বলবি কম।
ছেড়ে দে জানোয়ার!
মিটাই আশা একবার।
নাই রে তোর মা-বোন!
চুপ! করবো কিন্তু খুন।
নরপিশাচ একটা তুই।
আয় সর্বাঙ্গে তোর ছুঁই।
বাঁচাও, বাঁচাও, বাঁচাও।
চেঁচাও জোরে চেঁচাও।
অতঃপর জানোয়ারটা পৈশাচিক আনন্দে মেতে ওঠে। অভুক্ত কুকুরের ন্যায় খাবলে খেতে থাকে মেয়েটার আপাদমস্তক। একটা সময় পর কুকুরটা ক্লান্ত হয়ে পরে। তারপর মেয়েটা গোঙাতে গোঙাতে বলতে লাগলো—
একটু পানি যদি পাই!
হারামযাদি পানি নাই।
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শ্বাস।
কিছুক্ষণ পর হবি লাশ!
জীবনটা দেন ভিক্ষা।
পরে দিবি আমায় শিক্ষা।
ভুলে যাবো ঘটনা সব।
জানি পরে হবে কলরব!
কেউ জানবে না কিছু।
শুধু পুলিশ নিবে পিছু।
চুপ থাকব আজীবন।
ঘটাতে পারিস অঘটন!
শুধু ভিক্ষা চাচ্ছি প্রাণ!
এখন নিবো তোর জান।
এভাবেই শত শত মা-বোনের প্রাণ রোজ হচ্ছে শেষ!
ধর্ষক বেঁচে যায়!ধর্ষণ করে যায়!
এটাই বর্তমান সমাজের চিত্র।
সংগ্রহীত।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.