মোঃ সোহেল আমান, রাজশাহী ব্যুরো
নওগাঁ থেকে বিপুল পরিমান গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেফতার করেছে -৫ সিপিসি-৩ জয়পুরহাট আভিযানিক দল।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব ২১ জুন বিকেলে জেলার সদর থানাধীন ঠ্যাংভাঙ্গার মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার বসন্তপুরের মোঃ আবু তাহেরের ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২৮), কুটিশহরের মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেন (৩৮) ও বড় জ্বলার মোঃ জামাল হোসেনের ছেলে মোঃ শাওন (২১)।
গ্রেফতারকৃতরা অভিনব পদ্ধতিতে উপরের অংশ কাটা মাইক্রোর শীটের নীচে পাটাতনের প্লেন শীটের নীচে লুকায়িত অবস্থায় ৬৪ কেজি গাঁজা বিক্রি করার জন্য নিয়ে যায়।
এসময় তাদের কাছ থেকে উল্লেখিত গাঁজা, ০৪টি মোবাইল, ০৬টি সীমকার্ড ও মাদক ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ৫,০৬০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
এসময় গাড়ির চালক মোঃ শহিদুল (২৫, পিতা-মোঃ আমিরুল ইসলাম সাং-মতিনগর, থানা-কোতয়ালী, জেলা-কুমিল্লা এবং অজ্ঞাতনামা আরো ০২ জন কৌশলে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী সাদ্দাম ও পলাতক আসামী শহিদুল (চালক) চিহ্নিত পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক সরবরাহ করে আসছে বলে জানা যায়। অজ্ঞাতনামা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সাদ্দাম জানায় অজ্ঞাতনামা পলাতক আরো ০২ জন এই অঞ্চলের বাসিন্দা আটককৃত সাদ্দাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার সীমান্তবর্তী অঞ্চল হতে গাঁজার চালান সংগ্রহ করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাইভেট কার/ উপরের অংশ কাটা মাইক্রোতে বহন করে গাঁজা সরবরাহ করে আসছিল।
উল্লেখ্য যে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, গত কয়েকদিন ধরে র্যাব সদর দপ্তর, ইন্ট উইং ও র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল সাদ্দাম, আলমগীর ও শাওন এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.