শাহিনুর রহমান পিন্টু, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তার গাড়ির চালক মোঃ শাহিদুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত ও অনৈতিক কাজে ব্যবহারে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি এই গাড়ি চালকের মাগুরা শিক্ষা অফিস ভবনে রাতের বেলা এক নারীকে নিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা খাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, গাড়ি চালক বাবু ও এক নারী অফিসের একটি কক্ষ থেকে বের হচ্ছেন। এ সময় বাবু স্থানীয়দেরকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন এবং ক্ষমা চাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চালক শাহিদুল মাগুরা জেলা শিক্ষা অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় স্থানীয় এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে রাতের বেলা অফিস কার্যালয় ভবনের দোতলার একটি কক্ষে প্রবেশ করেন।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা জানতে পেরে তাকে অফিসের ওই কক্ষে যেয়ে ওই নারীসহ হাতেনাতে ধরেন। সে সময় চালক শাহিদুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এবং স্থানীয়দের কাছে ক্ষমা চেয়ে কোনোমতে রক্ষা পান। তার এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন মাগুরা জেলা শিক্ষা অফিসার আলমগীর হোসেন।
এরপর মাগুরা অফিস থেকে চালক শাহিদুল ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসে বদলী হন। এখানে এসেও তিনি একই ধরনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। সূত্রমতে আরো জানা যায়, তিনি সরকারি গাড়িতে প্রায় এক নারীকে ঝিনাইদহ বাস টার্মিনালে নামিয়ে দেন।
দীর্ঘদিন ধরে চালক শাহিদুল সরকারি বিধি বহির্ভূত কর্মকাণ্ড করে গেলেও তার বিরুদ্ধে নেওয়া হয় না কোন ব্যবস্থা। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসের গাড়িচালক মোহাম্মদ শাহিদুল ইসলাম বাবু বলেন, ঘটনাটি বেশ কিছুদিন আগের। আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে তা অসত্য।
ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ওই সময় ফাঁসানো হয়েছিল বলেও তিনি দাবি করেন। ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আজহারুল ইসলাম বলেন, গাড়িচালক শাহিদুলের ব্যাপারে মাগুরা অফিসে কর্মরত থাকাকালীন ঘটা একটি ঘটনার কথা আমি শুনেছি। তবে আমার এখানে সে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে বিধিবহির্ভূতভাবে কিছু করছে কিনা তা আমার জানা নেই।তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2024 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.