সম্প্রতি JN24news.com নামক এক অনলাইন নিউজ পোর্টালের অনিয়ম/দুর্নীতি পেইজে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত নাসিরনগর উপজেলার ১নং চাতলপাড় ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগে অনিয়ম ও দু্র্নীতির অভিযোগ শিরোনামে যে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার পদের একজন আবেদন কারীর ভাই জিয়াউল করিম সোহেল । প্রতিবাদে তিনি জানান এই সংবাদ পোর্টালটি সাংবাদিকতার মানদন্ড, নীতিমালা, দায়বদ্ধতার ন্যূনতম তোয়াক্কা না করে ব্যক্তি বিশেষের অভিযোগকে আমলে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে । উল্লেখ্য যে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখিত নিকাহ রেজিষ্ট্রার প্যানেলে প্রেরিত ১নং ব্যক্তি কি করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধী ব্যক্তির পুত্র হলেন, সেই ব্যাপারে কোন সঠিক তথ্য প্রমাণ উল্লেখ ব্যতিরেখেই একজনকে রূপ কথার গল্প কাহিনী মত মনগড়া ব্যক্তি বিদ্বেষের কারণে স্বাধীনতা বিরোধী পুত্র বলে ঢালাওভাবে সংবাদটিতে উল্লেখ করা হয়। যা সাংবাদিকতার কোন নীতিমালায় পরে না।

এই প্রতিবেদনটি তৈরি করার পূর্বে এ প্রতিবেদকও এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন এবং বর্তমানে জীবিত মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা দুইজনের সাথে কথা বলেন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মতিউর রহমান এবং অপরজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দ্বীন ইসলাম উভয়েই এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন প্যানেলে উল্লেখিত ১ নং ব্যক্তির পিতা কোনভাবেই স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধী ছিলেন না। উনারা উভয়ই বলেন তখনকার সময়ে অনেক মুক্তিযুদ্ধাগণ উনার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন, খাবার দাবার গ্রহণ করেছেন। এবং উনার সহযোগিতাও পেয়েছেন বিভিন্ন ভাবে যুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় । উনার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ শুনার পরে উনারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সংবাদটিতে দ্বিতীয় যে অভিযোগটি উত্থাপন করা হয়েছে প্যানেলের দ্বিতীয় ব্যক্তির শ্বশুর প্যানেলের একজন সদস্য ছিলেন। নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার গেজেটের কোথাও একথা উল্লেখ নেই যে নিকাহ ও তালাক রেজিস্টার মঞ্জুরী কমিটির সদস্যের কোন আত্মীয়-স্বজন নিয়োগের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। সংবাদটি যদি লাইন বাই লাইন পড়া হয়, তাহলে দেখা যাবে যে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে কোন ব্যক্তি বিশেষ তার মনগড়া কল্পকাহিনী দিয়ে তার ব্যক্তি উদ্দেশ্য হাসিল ও জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে অর্থের বিনিময়ে এমন প্রতিবেদন করিয়েছেন বলে প্রতিমান হয়।

অনুসন্ধান করে জানা যায়, চাতলপাড় ইউনিয়নের রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ সিরাজুল আমিন বয়সজনিত কারণে বিগত ০১/০৯/২০১৯ খ্রি: তারিখ হইতে অবসর গ্রহণ করায় প্রায় পাঁচ বছর সময় কাল ধরে ঐ এলাকায় কোন স্থায়ী নিকাহ রেজিস্ট্রার নেই। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী একজন স্থানীয় স্থায়ী নেকাহ রেজিস্ট্রারের অভাবে হাওয়ার বেষ্টিত অঞ্চল হওয়ায় জনদুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তাই মাননীয় এমপি মহোদয়ের কাছে এলাকাবাসীর জোরালো দাবি ছিল একজন স্থানীয় স্থায়ী নিকা রেজিস্টার নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করার। সরজমিনে তদন্ত করে ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায় যে প্যানেল প্রস্তুতের প্রতিটি স্তরে যথাযথ নিয়ম মেনে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিকাহ রেজিস্ট্রার মঞ্জুরী উপদেষ্টা কমিটি তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেন। এই তদন্তে এও নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে প্যানেল কমিটির প্রত্যেক সদস্যই প্রেরিত প্যানেলের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। এই প্যানেল তৈরিতে বিন্দুমাত্র কোন প্রকার কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায় নি।

তদন্ত, অনুসন্ধান এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে
স্হানীয় এমপির ব্যক্তিগত সহকারী এনামুল হুদা সুমনের বিরুদ্ধেও যে অভিযোগ আনা হয়ে তাহা সর্বৈব অসত্য ও বানোয়াট। প্যানেল প্রস্তুত প্রক্রিয়ায় তার ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নেই বলে জানা যায়। বরং স্থানীয় জনগণের নিকট একজন সৎ , নীতি-নিষ্ঠাবান ও স্বজ্জন ব্যক্তি হিসেবেই তার পরিচিতি রয়েছে।

জিয়াউল করিম সোহেল আরও জানান, তিনি ঐ নিউজপোর্টালের সম্পাদকের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে, সম্পাদক এই নিউজের বিষয়ে জ্ঞাত নন মর্মে জানান এবং সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারকে দায়ী করে দুঃখ প্রকাশ করেন। এবং শীঘ্রই নিউজটি প্রত্যাহার করে নিবে বলে জানান।