মোহাম্মদ আলী সুমন
বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক সংগঠন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে (ক্রিটিক্যাল মনিটরিং) রাখা হয়েছে। হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তাঁর শ্বাসকষ্ট তীব্র আকার ধারণ করায় চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তে তাকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে নেওয়া হয়।
চিকিৎসক দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার পুরোনো হৃদরোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন জটিলতা—বুকে ধরা পড়া সংক্রমণ দ্রুত ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়েছে, যা তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাসে চাপ বাড়িয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই তাঁকে জরুরি বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয় এবং অ্যান্টিবায়োটিকসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এফ. এম. সিদ্দিকী জানান, সংক্রমণ উদ্বেগজনক হওয়ায় রোগীর ওপর নিবিড় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বোর্ডের আরেক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সোমবারও বোর্ড বসেছে এবং নতুন কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে। লন্ডন থেকে বড় ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। ঢাকায় তাঁর পাশে রয়েছেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান।
চিকিৎসক দলের পরামর্শেই রোববার রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে থাকা অবস্থায়ই তাঁর পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে ১১৭ দিন থাকার পর ৬ মে দেশে ফেরেন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যাতায়াত করছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.