মোঃ মাসুদ রানা, নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর নিয়ামতপুরে ইট ভাটায় চলছে খড়ি পোড়ানোর মহা উৎসব। সরকারি নীতি অনুযায়ী কয়লা পোড়ানোর কথা থাকলেও মানা হচ্ছে না কোন নিয়ম নীতি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ইট ভাটা রয়েছে ৫ টি। যাদের পরিবেশ অধিদপ্তরের নেই কোন অনুমোদন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের মালঞ্চী ভাতকুন্ডু গ্রামে গড়ে উঠেছে কয়েকটি ইট ভাটা। তার মধ্যে এমএবি ব্রিকস এ চলছে ইট পোড়ানোর কাজ। দেখা গেছে, উর্বর জমির মাটির পাহাড় গড়ে তুলে ইট তৈরি করছে। আর এসব ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে খড়ি। এমএবি ব্রিকসে খড়ির পাহাড় তৈরি করে রাখা হয়েছে। আর শ্রমিকরা সেখান থেকে খড়ি নিয়ে ইট পোড়ানো চিমনির মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমএবি ব্রিকসের এক শ্রমিক বলেন, করোনার আগে কয়লা পোড়ানো হলেও এখন আর কয়লা পোড়ানো হয়না। শুধু খড়ি পোড়ানো হচ্ছে। ইট ভাটা মালিক আমাদের যেভাবে বলছে আমরা তেমনই করছি।
এমএবি ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী আন্জুম হোসেন পাভেল বলেন, দেশে কয়লা সংকট চলছে বলে খড়ি পোড়ানো হচ্ছে। কয়লা আমদানি হলে আবার কয়লা পোড়ানো হবে বলে জানান তিনি। ইট ভাটার অনুমোদন আছে কি না জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন নেই তবে স্হানীয় প্রশাসন ও ডিসি অফিসের মৌখিক অনুমোদনে চালানো হচ্ছে।
এমএবি ব্রিকসের পাশের এমকে ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী বাছের আলী বলেন, আমার ইট ভাটায় কয়লা মজুদ রাখা হয়েছে। ইট ভাটায় এখনো ইট পোড়ানোর কাজ শুরু হয়নি।
এদিকে স্হানীয়রা জানিয়েছেন এভাবে ইট ভাটায় এভাবে কয়লার পরিবর্তে খড়ি পোড়ানোয় পরিবেশের ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি নষ্ট হচ্ছে আবাদি ফসল।
ইট ভাটায় খড়ি পোড়ানোর বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক সুফিয়ান বলেন, বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ কার্যালয়ের সাথে আলোচনা করে অভিযান পরিচালনা করে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.