নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক জিয়াউদ্দিন মাহমুদ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর কাঙ্গালুপাড়া গ্রামের আনোয়ারুল হক এবং একই এলাকার ছামিউল ইসলাম ওরফে শুভ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হাবরা রসুলপুর এলাকার শরিফুল ইসলামের সঙ্গে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী বিয়ের পর থেকেই গৃহবধূ আকলিমা খাতুন পারিবারিক অশান্তির কারণে প্রায়ই বাবার বাড়িতে চলে আসতেন। তার মা আবারও শ্বশুরবাড়িতে পাঠালেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি।
২০২০ সালের ১৫ আগস্ট শ্বশুরবাড়িতে ঝগড়ার জেরে আকলিমা বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন। পরদিন ভোর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে ২২ আগস্ট সকালে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর মৎস্য খামারের পেছনে বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় আকলিমার মা মমতাজ বেগম হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, অভিযুক্ত দুই যুবক গৃহবধূ আকলিমাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করেছে। মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান খান রিনো জানান, দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। তিনি বলেন, “এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
রায় ঘোষণার সময় আদালতে ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.