উজ্জল, নীলফামারী
ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন নীলফামারী জেলা শাখা আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উত্তাল হয়ে ওঠে জেলা শহর। শিক্ষক সমাজের নানাবিধ দাবি ও বঞ্চনার প্রতিফলন ঘটে এ কর্মসূচিতে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরঙ্গী মোড়ে এসে সমাবেশে পরিণত হয়।
শতাধিক শিক্ষক এতে অংশ নেন এবং ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষকদের মূল দাবি
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সমাজ বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার। তারা জানান, শিক্ষকরা দেশ গঠনের কারিগর হলেও জীবিকার নিশ্চয়তা ও সামাজিক মর্যাদায় তারা এখনো পিছিয়ে রয়েছেন।
বক্তারা সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো
এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য ৫০ শতাংশ বাড়ি ভাতা চালু করা, শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদান নিশ্চিত করা,
প্রতি শিক্ষককে ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা চালু করা, এবতেদায়ী মাদরাসা ও নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের দ্রুত এমপিওভুক্তির আওতায় আনা।
তারা বলেন, এসব যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে শিক্ষক সমাজ কঠোর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবে।
নেতৃত্ব ও উপস্থিতি
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মো. ছাদের হোসেন, আর সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ওমর ফারুক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিমলা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, নীলফামারী আলিয়া মাদরাসার সুপার আবু মুসা, সদর উপজেলা সভাপতি কামরুজ্জামান, এবং জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-নেতারা।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আল ফারুক আব্দুল লতিফ। তিনি বলেন, যে জাতি শিক্ষকদের প্রাপ্য মর্যাদা দেয় না, সেই জাতির উন্নতি অসম্ভব। সরকারের উচিত অবিলম্বে এই দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা।
অবহেলার প্রতিবাদে শিক্ষকদের অঙ্গীকার
বক্তারা অভিযোগ করেন, বছরের পর বছর ধরে শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা ও পদোন্নতি নিয়ে অবহেলা করা হচ্ছে। এমপিওভুক্তির বাইরে থাকা হাজারো শিক্ষক দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করছেন।
তারা একবাক্যে জানান, “আমরা আর বঞ্চিত থাকতে চাই না। ন্যায্য দাবির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাব।
সমাবেশ শেষে শিক্ষক নেতারা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না এলে পর্যায়ক্রমে জেলার প্রতিটি উপজেলায় আন্দোলন কর্মসূচি চালানো হবে
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.