নেত্রকোনা জেলা বারহাট্টা উপজেলার দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী মুক্তির রানী বর্মন (১৬) বাউসী ইউনিয়নের প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের নিখিল চন্দ্র বর্মনের মেয়ে। নিহত মুক্তির পরিবার সূত্রে জানা যায়, বখাটে তরুণ কাউছার মিয়া (২১) প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনী পড়ুয়া দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থী মুক্তি রানী বর্মনকে (১৬) পথিমধ্যে উত্ত্যক্ত করতো এবং প্রেমের প্রস্তাব দিতো। বখাটে যুবক কাউছারের প্রেমের প্রস্তাবে মুক্তি রাজী না হওয়ায় এবং বিষয়টি তার অভিভাবককে জানানোয় সে মুক্তির প্রতি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্কুল ছুটির পর মুক্তি রানী বর্মন বাড়িতে যাওয়ার পথে একই গ্রামের শামছু মিয়ার ছোট ছেলে মোঃ কাউছার মিয়া (২১) দা দিয়ে মাথায় উপর্যুপরি কুপিয়ে মুক্তি রানী বর্মন কে গুরুতর আহত করে। আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী দ্রুত মেয়েটিকে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়, সেখান থেকে তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। মুক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর আহত মুক্তিকে বিকাল ৫ ঘটিকায় আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দশম শ্রেণী পড়ুয়া দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থী মুক্তি রানী বর্মনের হত্যাকারী বখাটে তরুণ পাষণ্ড কাউছারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.