সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী, (বরগুনা)
র্যাব-৮, সিপিসি-১ পটুয়াখালী ক্যাম্প ও র্যাব-৮, সদর ব্যাটালিয়ান কর্তৃক যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে বরিশাল মহানগর কোতয়ালী মডেল থানা এলাকা হইতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ নিয়াজ মোর্শেদ গ্রেফতার করেছে।
৪ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় র্যাবের যৌথ অভিযানে আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মোঃ নিয়াজ মোর্শেদ (২৬) কে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানাধীন মোঃ ইউসুফের দোকান বেল্লাল টি এন্ড ফ্রেশি জুস এর সামনে হতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত নিয়াজ মোর্শেদ পটুয়াখালী জেলার মির্জাগন্জ উপজেলার পুর্ব সুবিদখালী গ্রামের মৃত আনিসুর রহমানের ছেলে।
র্যাব-৮,সিপিসি-১,পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার রাশেদ প্রদত্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তীতো জানা যায়। মামলার বাদী মোসাঃ আহানারা বেগম (৬০) এর ভাই ভিকটিম ভাই আবুল বাশার আবু বেপারী একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। সুবিদখালী বাজারে মেসার্স আল্লাহর দান ট্রের্ডাস এর স্বত্বাধিকারী। বিবাদীরা এলাকার দুর্ধর্ষ মাস্তান চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী। আবু বেপারীর একমাত্র ছেলে আব্দুল্লাহ আল আবিদ কেনাডিয়ান ইউনিভার্সিটি ঢাকার এলএলবি ২য় বর্ষের ছাত্র। মাঝে মাঝে সে বাড়িতে এসে তার পিতার ব্যবসার কাজ দেখাশুনা করে। গত ২০শে সেপ্টেম্বর সে বাড়িতে আসে এবং তার পিতার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল্লাহর দান ট্রের্ডাস নামক দোকানে বসে ব্যবসায়ীক কার্য পরিচালনার সময় এজাহারনামীয় সকল আসামীরা বাদীর ভাইয়ের দোকানে গিয়ে বাদীর ভাইয়ের ছেলে আবিদকে বলেন যে, বিবাদীরা এলাকায় অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ করিতেছি। বিবাদীদেরকে ১০ (দশ) লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তখন বাদীর ভাইয়ের ছেলে আবিদ বলে যে, তার কাছে কোন টাকা নাই। তখন এজাহারনামীয় আসামীরা জানায় যে, তারা পরবর্তী ইং-২৭-০৯-২০২৫ তারিখ বিকাল ০৪.৩০ ঘটিকার সময় তাদের বাসায় চাঁদার টাকা নিতে যাবে। পরবর্তীতে ঘটনার বিষয়টি বাদীর ভাইয়ের ছেলে আবিদ বাদী সহ তার পিতা আবু বেপারী ও পরিবারে আত্মীয় স্বজনদের জানায়।
আসামীগন২৭শে সেপ্টেম্বর বিকাল ৪.৩০ ঘটিকার সময় মির্জাগঞ্জ থানাধীন সুবিদখালী মাছ বাজার সংলগ্ন বাদীর ভাই আবুল বাশার আবু বেপারী এর ৪র্থ তলা ভবনের ৪র্থ তলার বাসায় যায়। বিবাদীরা চাঁদার ১০ (দশ) লক্ষ টাকা দাবী করে। তখন ১ ও ২নং আসামীর হাতে থাকা চাকু দিয়ে চাঁদার দাবিতে বাদীর ভাইয়ের ছেলে ও মেয়েকে ভয়ভীতি দেখায়। তখন বাদীর ভাইয়ের ছেলে আবিদ এর নিকট ভার্সিটির সেশন ফি বাবদ ঘরে থাকা ১ (এক) লক্ষ টাকা প্রান ভয়ে চাঁদা হিসেবে আসামীদের দিয়ে দেয়। বাকি ৯ (নয়) লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করাকালে বাদীর ভাইয়ের ছেলে বলে তার কাছে আর কোন টাকা নাই। বিবাদীরা আবিদকে ও তার বোন সাফাকে মারপিট করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সোকেজ এর ড্রয়ারের লক ভেঙ্গে ভিতরে থাকা ৬ আনা ওজনের একটি স্বর্নের চেইন যাহার মূল্য অনুমান ৬০ (ষাট) হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাদী থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের বিএমপি, বরিশালের কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.