প্রিয়াংকা নিয়োগী,
পুন্ডিবাড়ী,ভারত,
___________
এ পৃথিবীতে কেউ পতিতা হতে চায়না,
কিন্তু ভাগ্যের লিখনে হতে হয় পতিতা।
বেইশ্যা,পতিতা গালি পৃথিবীর সবথেকে কঠিন গালি,
ঝগড়ায় নারী জাতিকে পরাজিত করার জন্য এই গালি বহুদামি।
কোনো অপছন্দের নারীর জন্য,
চরিত্রহীন,বেইশ্যা প্রমাণ করাটাই আগে লক্ষ্য।
সবাই মনে করে বেইশ্যা,পতিতারা শরীরের সুখ বিক্রী করে খায়,
এদের থেকে নোংরা আর কেউ নাই।
সমাজে সবথেকে বেশি নোংরা চোখে,
দেখা হয় বেইশ্যা নারীকে।
যেন তারা ইচ্ছে করেই শরীরের সুখ বিক্রি করার
পথ বেছে নিয়েছে।
তা কিন্তু নয়।
কিছু কিছু টাকার জন্য ও পেটের তাগিদে হলেও,
কোনো পরিবারে টাকার জন্য না জানিয়ে বিক্রি করে কন্যা,ঘরের স্রীকে।
বেশির ভাগ নারী পাচারকারীদের ফাদে পড়ে,
রয়ে যেতে হয়েছে এ পথে।
অনেকে মুক্তির পথ খুজতে গিয়ে,
খুজে পেয়েছে অত্যাচার ও মৃত্যুর দরজা।
কিছু পুরুষ যদি ঘরের স্রী এর কথা ভেবে না যেত তাদের কাছে,
উঠতি যৌবনের স্বাদ দেখার ইচ্ছেটা যদি কিছু যুবকদের না থাকত,
তাহলে হয়ত বেইশ্যা কারখানা না থাকত।
সমাজের অনেক মানুষ, এদের কাজে লাগায় বড়ো অংকের ক্ষেত্রে,
তা অনেকেরই জানার বাইরে।
তবে ইচ্ছে করে এপথ বেছে নিয়োনা নারী,
কর্মের জন্য পথ খোলা আছে অনেকখানি।
বলতে পারো -
যে নারীরা শরীর বিক্রি করছে তাদের বেইশ্যা বলা হয়,
আর যে সমস্ত পুরুষরা বেইশ্যাদের শরীর কিনে ভোগ করে,
তাহলে তারা কি "বেইশ্য" নামের উপযুক্ত হয়!
বেইশ্যা বলতে যত মজা লাগে,
ওদের জীবন ততটাই কষ্টের।
তাই কখনও কাউকে বাজারের মেয়ে,বেইশ্যা,পতিতা বলে গালি না দেওয়াটাই উত্তম হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.