মোঃ ওয়াহিদ, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: পানি স্বল্পতা ও শ্রমিক সংকটে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মানিক খালি ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পাট চাষি মোঃ আলতাব উদ্দিন
প্রতিবারের মতোই জমিতে পাট চাষ করেন আলতাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ২০০৩ সাল থেকে আমি এই দেও পাট ক্ষেত উৎপাদন করি। প্রতিবারই বোরো ধান ক্ষেতে পাট চাষ করি। তিন বিঘা জমি থেকে প্রতিবছরে আমার আয় হতো চল্লিশ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। ২০২০ সালে পাটের দাম কম থাকায় এই তিন বিঘা জমি থেকে ওই বছর ১৩ হাজার ক্ষতি হয়। তাই ২০২১ সাল থেকে ভোট পাট উৎপাদন করি। এ বছর পানি কম থাকায় দুর্ভোগে পড়েছি। এছাড়া মিলছেনা হাটবাজারে কোনো শ্রমিক।
অল্প শ্রমিক বাজারে থাকায় রোজ এক হাজার টাকা করে মজুরি চাচ্ছেন, এদিকে দাম পাচ্ছে না পাটের বাজার। তাই কোনো শ্রমিক না নিয়ে একাই কেটে যাচ্ছি আমার এই তিন বিঘা জমি। ২০২২ সালে বর্ষা মৌসম বেশি পানি থাকায় স্রোতে আমার এক বিঘা জমির পাট হারিয়ে যান এবং ক্ষতি গোস্ত হয় ২৬ হাজার টাকা। তাই এই বছর পানির স্রোত দেখতে না পারায় হতাশায় পড়েছে বলে জানান এই কৃষক মোঃ আলতাফ উদ্দিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার যাতে পাটের উপর একটু নজর দেয়। আমরা কৃষক শ্রমিক প্রতিবছরে আমরা উৎপাদন করে লাভ করতে পারিনা। রায় কলার ক্রেতা মোঃ মোস্তফা মিয়া বলেন এই বছর ৪০ কেজি পাটের দাম হচ্ছে ২৬০০টাকা
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.