অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাট
বাগেরহাটের ফকিরহাটে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করা মরদেহটি হামিদা বেগমের। তিনি খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার দোপাধী রামনগর এলাকার বারেক গাজীর মেয়ে। পরকীয়ার জেরে স্বামী রাজমিন্ত্রী লিটন গাজী হামিদা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঝোপের মধ্যে ফেলে যায়। আটক লিটন গাজী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা স্বীকার করেছেন।
শনিবার (০৬ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার শুকদাড়া নামক স্থান থেকে অজ্ঞাত হিসেবে হামিদা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকেই পিবিআই, বাগেরহাট হত্যার রহস্য উদঘাটন ও নিহতের পরিচয় জানতে কাজ শুরু করেন। রাতেই পিবিআই আলামতসহ হত্যাকারী লিটন গাজীকে আটক করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নিহত হামিদার মোবাইলফোনসহ আলামত উদ্ধার করে। এ ঘটনায় লিটন গাজীকে আসামী করে ফকিরহাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লিটনকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার লিটন গাজী খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার চরধোপাখালী গ্রামের জিএম শরিফুল গাজীর ছেলে।
পিবিআই, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুর রহমান বলেন, আড়াই বছর আগে স্বামী পরিত্যক্তা হামিদা বেগমের সাথে রাজমিন্ত্রী লিটন গাজীর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই হামিদা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি মেনে নেতে পারছিল না লিটন গাজী। পরে ৪ জানুয়ারি কৌশলে হামিদাকে ডেকে এনে শুকদাড়া এলাকার একটি বাগানে নিয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। রাতেই আলামতসহ লিটন গাজীকে আমরা আটক করি। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নিহত হামিদার মোবাইলফোনসহ আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লিটন গাজীকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.