মোহাম্মদ আজগার আলী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার মালঞ্চা হরগোবিন্দপুর গ্রামে বিষ প্রয়োগে প্রায় ৭ একর জমির বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগে থানায় অভিযোগ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বেতদিঘী ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামের মৃত মকছেদুর রহমানের প্রথম স্ত্রীর সন্তান মোঃ সোহানুর রহমান সোহান ও ২য় স্ত্রীর সন্তান মোঃ নাহিদ জামান লিমন এর সাথে দির্ঘদিন যাবৎ জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ বিরাজমান। বিষয়টি নিয়ে ইতোপূর্বে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোটে মামলা করা হয়েছে। কিছু দিন আগে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে ২য় পক্ষের সন্তান মোঃ নাহিদ জামান লিমন গত (৪ জানুয়ারী) রোববার দিবাগত রাতে প্রথম পক্ষের সন্তান মোঃ সোহানুর রহমান সোহানের রোপনকৃত বোরো ধানের চারাগাছ বিষ প্রয়োগে নষ্ট করে দেয়। এর পরের দিন (৫ জানুয়ারী) সোহানুর রহমান বাদি হয়ে মোঃ নাহিদ জামান (২৬) সহ মোট চার জনের নামে ফুলবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
কৃষক মোঃ সোহানুর রহমান জানান, প্রায় ৭ একর জমিতে বোরো রোপনের প্রয়োজনে বিজতলা রৈতী করি। গত ৫ তারিখে জমিতে চারা রোপন করার কথা। বরিবার সকালে জমিতে গিয়ে দেখি বিষ প্রয়োগ করে আমার সব চারাগাছ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে ফুলবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত কোন পুলিশ আমার ক্ষতিগ্রস্থ জমি দেখতে আসে নাই। আমার সাথে শত্রুতা থাকতে পারে সে জন্য আমার বোরো চারা গাছগুলো ধ্বংস করতে হবে এটা কেমন কথা । আমি চারাগাছ ধ্বংসকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।
স্থানীয় সাবেক মেম্বার আবুল কাশেম বলেন, এই বছরে সবচেয়ে বেশি শীত হয়েছে। শীতের কারনে অনেক এলাকায় বোরো চারার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে চারা পাওয়া অনেক কঠিন। এমন সময় বোরো ধানের চারার সাথে শত্রুতা না করলেও পারতো। চারার অভাবে প্রায় ১৬ বিঘা জমিতে বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়লো। নষ্ট বীজতলা দেখতে আসা একই এলাকার ইদ্রিস আলী, আলাউদ্দিন, লুৎফর রহমান, রফিকুল ইসলাম ও জহুরুল ইসলামসহ অনেকে একই কথা বলেন।
অভিযোগের বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। আমার তদন্ত অফিসারকে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.