উপজেলার দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, গত বছরে ধান কাটা মাড়াইয়ের সময় শ্রমিকের সংকট এবং আবহাওয়া খারাপ থাকায় ফসল ঘরে তুলতে দেরী হয়। এ বছর হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা মাড়া করা হচ্ছে। এত করে সময় কম লাগছে এবং খরচও কমে গেছে। তিনি আরো বলেন, এবার বোরো ধানের ফলন রেকর্ড পরিমাণ হয়েছে। ইতোপূর্বে কোনো বছরে এমন ফলন হয়নি। শতকে এক মন করে ধানের ফলন হয়েছে। চিলাপাড়া গ্রামের আশরাফুল আলম চৌধুরী বলেন, এবার শ্রমিকের সংকট তেমন নেই বললেই চলে। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় খুব সহজে কৃষকরা ধান কাটা মাড়াই করে ঘরে তুলতে পারছে। হারভেস্টার মেশিনের ব্যবহার এবছর অনেক বেড়েছে এবং মেশিন দিয়ে ধান কাটায় সময় কম লাগতেছে ও খরচও কমে গেছে। উপজেলার বারোকোনা গ্রামের কৃষক শুকুর আলী জানান, গত বছর চড়া মূল্য দিয়েও সময়মতো শ্রমিক পাওয়া যায়নি। এবছর হারভেস্টার মেশিন ব্যবহার করায় খরচ কমেছে এবং সময়ও কম লাগছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৪ হাজার ১২০ হেক্টর। কিন্তু চাষাবাদ করা হয়েছে ১৪ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ রুম্মান আক্তার বলেন, এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে কৃষক কম খরচে এবং সল্প সময়ে চাষাবাদকৃত বোরো ধান কাটা মাড়া করে ঘরে তুলতে পারে সেলক্ষ্যে উপজেলায় কৃষকদের মাঝে ভর্তুকিতে ২১০ টি হারভেস্টার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য এলাকা থেকেও হারভেস্টার মেশিন এসেছে। বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ে এবছর উপজেলার কোথাও শ্রমিক সংকট নেই। তাছাড়া আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা খুব সহজে ফসল ঘরে তুলতে পারছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2024 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.