ফয়সাল মবিন পলাশ:
‘বন্ধু মোরা শৈশবে ফেরা’ ১৯৯৮ ব্যাচের পুনর্মিলনীর প্রস্তুতিপর্ব গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি ছিল তাই ২৭/০৯/২০২৫ তারিখে করার হয়। বন্ধুত্বের টানে বরাবরের মতো সবাই সকাল ছয়টা এক জোট হই প্রাণপ্রিয় জন্মভূমি বাঙ্গরা বাজারের ডাকবাংলার সামনে। এবার আমাদের গন্তব্য ছিল বাংলাদেশের ইলিশ খেত তিন নদীর মোহনা চাঁদপুরে জেলায়।
যেহেতু ২৭ সেপ্টেম্বর আমাদের পুনর্মিলনী তাই সকাল সকাল রওয়ানা দিলাম। বন্ধু এডিসি একরামুল সিদ্দিক চাঁদপুরের আমন্ত্রণে ইলিশ খাওয়া ও আনন্দ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে।
সকাল ৭টায় আমরা রাওয়ানা হলাম। ঢাকা, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট, কুমিল্লা থেকে তিনজন বন্ধু কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে ছন্দু হোটেলে এসে আমাদের সাথে যোগদান করে একসাথে সবাই নাস্তা করি । সকালের নাস্তা শেষ করে আমরা চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। বন্ধু বিল্লাল, দুলাল সহ সকল বন্ধুদের পরিবেশনা ও গানে সারাদিন মাতিয়ে রাখেন ভ্রমণকারী বন্ধু দের। নদীর ঢেউ ও সংগীতের মুর্ছনায় পিকনিকে অংশগ্রহণকারী সকল বন্ধুদের। মাতিয়ে রাখে সর্বক্ষণ।
আগে থেকেই বন্ধু এডিসি একরামুল সিদ্দিক চাঁদপুর সার্কিট হাউজে আমাদের রেস্ট নেয়ার ব্যবস্থা করবে।
আমরা রেস্ট নিয়ে সাড়ে বারোটায় চাঁদপুর তিন নদী মোহনায় উপস্থিত হই। বন্ধু একরামুল সিদ্দিক আগেই ইলিশ খাওয়ার আয়োজন করে। ইলিশ খাওয়ার আয়োজন শেষ করে মেঘনা নদীর ঢেউয়ের তালে-তালে নেচে, গেয়ে সকল বন্ধুরা সারা দিন উপভোগ করি এই নৌ-ভ্রমণ।
এভাবেই আড্ডা দিতে দিতে নদীপথের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে যেটা আজকাল না করলেই নয়। সেই সেলফি তুলতে তুলতে স্মৃতিগুলো মুঠোয় পুরতে রাত ৭টায় বন্ধু একরামুল সিদ্দিককে সার্কিট হাউসে হল রুম ক্রেস্ট দেওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের চাঁদপুর আনন্দ ভ্রমণ শেষ করে আবার জন্মভূমি বাঙ্গরা বাজার থানায় ফিরে আসি।
এই শেষ বেলায় এসে মনে পড়লো রবীন্দ্রনাথ ঠিকই বলেছিলেন,‘গোলাপ যেমন একটি বিশেষ জাতের ফুল, বন্ধু তেমনি একটি বিশেষ জাতের মানুষ।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.