মতামত
আমার আব্বু ইঞ্জিনিয়ার আবদুল ওহাব সাহেব মারা যায় গত ২৬.০১.২০২৪ ইং তারিখে এবং আব্বুর জানাযায় অনেক জনপ্রতিনিধি এবং নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বরুড়া পৌরসভার মাননীয় মেয়র মহোদয় উপস্থিত ছিলেন এজন্য আমি এবং আমার পরিবার সকলের নিকট কৃতজ্ঞ।
যেহেতু আমার আব্বু জীবদ্দশায় সরকারী ১ম শ্রেনীর গেজেটেড কর্মকর্তা (অবসরপ্রাপ্ত) এবং সরকারী পেনশন ভোগী ছিলেন সেহেতু আব্বুর মৃত্যুসনদ ও ওয়ারিশ সনদ মৃত্যুর পর পর-ই অতীব জরুরী।
শুক্র এবং শনিবার সরকারী ছুটির দিন থাকায় গত ২৮.০১.২০২৪ ইং রোজ রবিবার সর্বপ্রথম আমার নিকটস্থ ২জন আত্নীয় কে বরুড়া পৌরসভা কার্যালয়ে পাঠাই আব্বুর মৃত্যু সনদ এবং ওয়ারিশ সনদের জন্য।
কিন্তু অতীব দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, পৌরসভার কিছু অসাধু কর্মচারী যাহারা মৃত্যু সনদ এবং ওয়ারিশ সনদ প্রদান করেন উনাদের নিকট আমার প্রেরীত লোক গেলে উনারা শুরু করেন নানান টাল-বাহানা।
মাননীয় মেয়র মহোদয় এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কে বিষয় টি মোবাইল ফোনে অবহিত করি এবং দ্রুততার সহিত তাহা ইস্যু করে দিবেন বলে আস্বস্ত করেন যাহা প্রশংসনীয় এবং আজ দুপুর ১২ ঘটিকায় আব্বুর মৃত্যুসনদ ইস্যু করা হয়।
অবঃশেষে, বাকি রইলো ওয়ারিশ সনদ এবং দুর্ভাগ্যজনক হলে ও সত্য যে, আজ দুপুরে পৌরসভার ২জন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমার আব্বু র মৃত্যুর বিষয় টা খতিয়ে দেখার নামে ইনকুয়ারি তে আসেন এবং ইনকুয়ারিতে বিভিন্ন অবান্তর প্রশ্ন করেন ৫জন গ্রামবাসীকে যাহা পিতৃহারা সন্তানের নিকট কষ্টদায়ক। ফাইনালী, ইনকুয়ারি শেষে জনসম্মুখে খরচের টাকা র নামে ঘুষ দাবি করেন যাহা পিতৃহারা সন্তানের নিকট আরো বেশী বেদনাদায়ক।
উপয়ান্তর না দেখে তাদের চাহিদা মতো সেই ঘুষ আমি প্রদান ও করি, কারন আমি ঘুষ না দিলে হয়তোবা আমার আব্বু র ওয়ারিশ সনদ প্রাপ্তিতে নতুন জটিলতা তৈরী হবে।
উল্লেখ্য পৌরসভার যে কর্মকর্তা ইনকুয়ারির নামে ঘুষ দাবি করতে এসেছেন উনি আমার আব্বুর সম্পূর্ণ জানাজা facebook এ লাইভ করেছেন উনার ফেইসবুক পেইজে।
আমার মতো স্বজনহারা অনেকেই হয়তো এই নীরব ঘুষবাজীর স্বীকার হচ্ছেন, আর তাই মাননীয় মেয়র মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই সমস্ত ঘুষবাজদের সনাক্ত করে প্রতিহত করুন।
মোঃ এমরান হোসেনের,
পুরান কাদবা, বরুড়া পৌসভা, বরুড়া, কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2024 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.