
মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বরুড়া
কুমিল্লার বরুড়ায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৫ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পর্যায়ে ৫ জননীকে শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল ৯ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় বরুড়া উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা বেগম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান রনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরুড়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ কামরুল হাসান রনি, বরুড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ এর প্রতিনিধি এস আই মাকসুদ হাসান।
এদিন ৫ জন অদম্য নারীকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় তার মধ্যে
উপজেলার ভবগ্রাম গ্রামের ফরিদা আখতার, নিজের প্রচেষ্টায় ও মানসিক নির্যাতনকে ঠেলে বি.এ পাশ করেন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রাপ্ত হন।
উপজেলার পয়ালগাছা ইউনিয়নের দোঘই গ্রামের কৃতি সন্তান সুনীতি রাণী বিশ্বাস, তিনি শিক্ষা জীবনে পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তার আগে নার্সিং ও হেলথ ভিজিটর হিসেবে কাজ করেন।
উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের পুত্র বধু মরিয়ম নেছা তিনি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পাইকারচর গ্রামের মোল্লা বাড়ির এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্ম গ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবন শেষে অনেক ভু-সম্পত্তি থাকা সত্বেও তাকে অনেক প্রতিকূলতা, বাধা অতিক্রম করে লেখা পড়া চালাতে হয়। তাদের ভু-সম্পত্তি রায়তদের কাছে বছরের পর বছর থাকার কারনে ওরা নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়, তাই নিঃস্ব হয়েও নিজেকে তৈরি করেন জীবনযুদ্ধে অদম্য সৈনিক হিসেবে। বিভিন্ন জায়গায় লজিং থেকে মেট্রিক পাশ করেন। তার শ্বশুর ব্রিটিশ আমলে এফ, এ পাস করেছিলেন। ঘরে অসুস্থ মা কী করবেন পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় চাকরী নেন।
আরতী রাণী বিশ্বাস উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি মানুষের মুখে হাঁসি ফুটানোর জন্য অসুস্থদের সেবা করার ইচ্ছে থেকেই নার্সিং পেশায় যোগদান করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত হওয়ার পরও মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
উপজেলার ধনীশ্বর গ্রামের সালমা বেগম,
তিনি ১৭ বছর বয়সে বিবাহ সম্পন্ন হয়।
বিবাহের পর থেকে আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করেন পরবর্তীতে আর্থিক সংকট
নিরসনের লক্ষ্যে খামার তৈরি করে আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেন। বর্তমান তিনি স্বাবলম্বী হয়ে এলাকায় বেকারত্ব দূরীকরণে বিশেষ ভাবে অবদান রেখে যাচ্ছেন। বর্তমানে ১ বিঘা জমির উপর ২৬টি গরু,৩২টি ছাগল, ৫০ টি কবুতর, ২০ টি হাস, ১৬টি টাইগার মুরগী সহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু ও প্রাণি রয়েছে।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 






















