এ ব্যাপারে বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, রাজশাহীকে আমের জন্য বিখ্যাত বলা হলেও বাঘা উপজেলা আম প্রধান অঞ্চল হিসাবে খ্যাত। জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে আটটিতে যে পরিমাণ আম উৎপাদন হয়, তার চেয়েও বেশি আম উৎপাদন হয় বাঘা উপজেলায়। প্রায় ৮-১০ বছর ধরে এ উপজেলার আম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ইতালি, হংকং, নেদারল্যান্ড, থাইল্যান্ড ও রাশিয়াসহ বেশ কিছু দেশে এ উপজেলার আম রপ্তানি করা হয়। গত বছর বাঘা উপজেলা থেকে ৩৬ লাখ টাকার আম রপ্তানি করা হয়েছে। যদিও টাকার অংকে কম। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্যে রপ্তানির কার্যক্রমটা অব্যহত রাখা। এ বছর ২০০ কোটি টাকার আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা কৃষকদের ফ্রুট ব্যাগিং করতে উৎসাহ দিচ্ছি। তারা ফ্রুট ব্যাগিং করছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ আম ফ্রুট ব্যাগিং করা হয়েছে। আরও ৮ লাখ আম ফ্রুট ব্যাগিং করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাষিদের আম উৎপাদন ও রপ্তানিতে উৎসাহিত করছি। প্রতি বছর এই ধরনের চাষির সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে ৩৫ থেকে ৪০ জন এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আম উৎপাদন করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত বাঘা উপজেলা থেকে ইতালি, হংকং ও ইংল্যান্ড এ মোট ১১৪০ কেজি আম রপ্তানি হয়েছে, যা সবগুলোই স্থানীয় গুটি জাতের চোষা আম। ব্যাগিং পদ্ধতিতে হিমসাগর আম এ মাসের ২৫ তারিখ থেকে শুরু হবে বলে স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.