বাবা
অন্তরা বনিক
আমি এক ছায়ায় থাকি।
যেখানে আছে অনেক মায়া।।
আগলে ত আমায় মা রাখে
আমায় বাঁচিয়ে রাখে বাবা ।।
রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে
যখন মন পছন্দের খাবার পায়।।
আমার বাবা তখন ব্যাস্ত থাকে
সব ছেড়ে আমাকে ভালো রাখার চিন্তায়।।
মাসের শেষে আমার বাবা
নিজের পছন্দকে দেয় ছার।।
যাতে আমরা সবাই আনন্দে থাকি।
ভালো থাকে এই সংসার ।।
আমার বাবার কাছে পাঁচ টাকা চাইলে
সে পঞ্চাশ টাকাও হাতে তুলে দেয়।।
পঞ্চাশ টাকা দিয়ে সে তার মনে
আমার আনন্দ অনুভব করে নেয়।।
আমাকে যখন প্রচন্ড বোকা দিয়ে।
আমাকে দূরে সরিয়ে দেয় বাবা।।
আমি দেখেছি সবাই কে লুকিয়ে।
আমার থেকে বেশি বাবার কষ্ট পাওয়া।।
আমি বাবা কে কখনোই
দেখিনি কিছুতেই ভয় পেতে।।
শুধু বেতিক্রম আমার বাবার ক্ষেত্রে।
আমার শরীর খারাপ হলে।।
আমার বাবার ছুটি নেই কখনো
এই প্রচন্ড প্রকার শীতে।।
কষ্ট করে তাকে ছুটতে হয়
আমাদের আনন্দ দিতে।।
দিনের শেষে কিছু না পেয়েও
আমি দেখেছি বাবার হাসি মুখ ।।
নিজে হাজার যন্ত্রণা সহ্য করেও।
সবার আগে আমার হাতে তুলে দেয় পৃথিবীর সব সুখ।
দিনের শেষে যখন আমার বাবা।
আমার চাওয়া পাওয়ার খোঁজ নেয়।।
বাবার পকেট শূন্য হলেও
সে আমার প্রয়োজন টুকু আমার হতে তুলে দেয়।।
বারিয়ের চিন্তা থেকে দূরে রেখে।
বাবাই রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে দেয় আমায়।
হাজার দিন কষ্ট করে
বাবা আমায় আমার মনের মত পড়ায়।।
বাবার নামে বলতে গেলে।
সেটা শেষ করতে ব্যার্থ আমি।।
বাবা কে কিছু বলার নেই।
একটা কোথায় ই বলবো বাবা তোমায় বড্ড ভালোবাসি।।
(ব্যারাকপুর রাষ্টগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজ, ভারত)
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.