স্টাফ রিপোর্টার
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হলেও হাসিনা সরকারের মদদ পুষ্ট দূর্নীতিবাজ সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) মো: মোস্তাফিজুর রহমান এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।
সরকার বদলের সাথে সাথে এখন নিজেকে বিএনপির লোক বলে জোর প্রচারণা চালাচ্ছে। এতে কাজে লাগাচ্ছে বর্তমানে তার ডানহাত হয়ে উঠা আরেক দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হুমায়ূন কবিরকে।জানা যায় বিএনপি ঘরনার কর্মকর্তা এই হুমায়ূন কবির এর আগে উপ পরিচালক (আলুবীজ)হিসেবে কাশিমপুর, গাজীপুরে থাকা অবস্থায় অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন।
পরবর্তীতে উপপরিচালক (রপ্তানি) হিসেবে সবজি ও মৎস হিমাগার, এয়ার পোর্টে কাজ করার সময় নামকরা মেজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযানে নানা রকম অনিয়ম ও দূর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হোন, যা হতে পরবর্তীতে তৎকালীন বিএডিসির কর্তৃপক্ষের 'সুনজরের' ফলে রক্ষা পান। এই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে স্বৈরাচারী সরকারের মদদ পুষ্ট সদস্য পরিচালক (বীজ) এর সাথে আঁতাত করে গত ৮ আগস্ট এক অফিস আদেশে একটি প্রকল্পের পরিচালক পদ বাগিয়ে নেন।
এমডি (সীড) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী ঘরনার কর্মকর্তাদের নিয়ে এক দূর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন। প্রমোশন, পদায়ন বানিজ্য ছাড়াও বীজ আমদানিতে নিজের পছন্দের পার্টিকে ব্যবহার, বীজ ক্রয়-বিক্রয়ে অনিয়ম, কমিশনের বিনিময়ে কাজ পাইয়ে দেয়া, জুনিয়র কর্মকর্তা কর্মচারীদের নানাভাবে ব্লাকমেইল করে আর্থিক সুবিধা নেয়া, তার কথামতো কাজ না করলে হুমকি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি নানা স্বৈরাচারী সিস্টেম ব্যবহার করে তিনি হয়ে উঠেছেন বিএডিসি বীজ উইংয়ের ত্রাস।
অনেক কর্মকর্তাকে একাধিকবার বিভাগীয় তদন্তের মুখোমুখি করে আর্থিক সুবিধা নেন, এমনকি ঘুষ নিয়েও আবার হেনস্থা করেন। মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন অফিস পরিদর্শনে গেলে অবৈধ আর্থিক সুবিধা না দিলে সেই কর্মকর্তাকে নানা নিয়মের বেড়াজালে ফেলে শোকজ, ট্রান্সফার ইত্যাদির সাথেও তিনি জড়িত বলে অভিযোগ আছে।
বিভিন্ন পত্রিকায় তার দুর্নীতির বিষয়ে বহুবার রিপোর্ট হলেও বিগত স্বৈরাচারী সরকারের মদদপুষ্ট হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। প্রমোশন, পদায়নের ক্ষেত্রে অসাধু কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে ভালো জায়গায় পদায়ন করেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে কর্মকর্তাদের যেতে বাধ্য করতেন, না গেলে হয়রানি। নিজের সরাসরি অধিস্তনদের পদোন্নতি রূদ্ধ করে নিজেকে এমডি পদের একমাত্র দাবিদার বানিয়ে বিভিন্ন লবিং ও টাকার বিনিময়ে চাকরি শেষ হওয়ার পর পুনরায় ১ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করেন।
সাধারণ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ এখন স্বৈরাচারমুক্ত। বিএডিসি কে স্বৈরাচারমুক্ত করতে হাসিনা সরকারের মদদ পুষ্ট দূর্নীতিবাজ সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) মো: মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করে বিএডিসি কে কলঙ্কমুক্ত করার দাবি সাধারণ ছাত্রজনতার।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.