এম.ডি.এন.মাইকেল
বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অল্প সময়ের মধ্যে লোন করিয়ে দেওয়ার নাম করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কথিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি আসাদ ও অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি কথিত এমডি আশ্রাফ গংরা।তাদের এই প্রচারণা চক্রটি গড়ে উঠেছে মতিঝিল ব্যাংক পাড়ায়।তাদের নিত্যনতুন প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব আকাশ ও আরাফাত নামে দুই জন তরুণ ব্যবসায়ী। ভুক্তভোগী আকাশ ও আরাফাত জানান প্রথমে আসাদ নিজেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডি পরিচয় দেয় এবং সাথে থাকা আশরাফ নিজেকে অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি এমডি পরিচয় দিয়ে বলেন মাত্র সাত দিনের মধ্যে আপনাদের ব্যাংক গ্যারান্টি লোন (বিজি) পাশ করিয়ে দেওয়া সম্ভব কিন্তু আপনাদের টাকা খরচ করতে হবে।এবং প্রথমে আমাদের দুইজনকে কয়েক লাখ টাকা দিবেন ফাইল প্রসেসিং এর জন্য তাদের দুইজনের কথামতো ২৬-০১-২৪ ইং তারিখে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সেই টাকা আশরাফ সাহেব এর হাতে তুলে দিলে কিছু সময় পরে আসাদ সাহেব আমাদের মুঠো ফোনে বলেন ওকে আপনাদের দেওয়া টাকা পেয়েছি এবং সাত দিনের মধ্যে আপনাদের কাজ হয়ে যাবে।আকাশ ও আরাফাত এই প্রতিবেদককে আরও জানান যে তখনও আমরা জানতাম না যে তারা দুই জন প্রতারক এমনকি তাদের দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডি ও অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি' এমডি'র পরিচয় ভুঁয়া কারণ তাদের কথাবার্তা ও পোশাক দেখে বুঝার উপায় নেই যে তারা এতো বড় প্রতারক।কিন্তু আমাদের থেকে টাকা নেওয়ার পরে ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও আমাদের বিজি লোন করিয়ে দেওয়ার কোন খবর নেই।এখানে উল্লেখ যে যখনই আসাদ ও আশরাফ কে কল করে লোন এর কথা জিজ্ঞেস করি তখনই বলে আগামীকাল হয়ে যাবে আগামীকাল হয়ে যাবে।এমনকি আসাদ ও আশরাফ আর আমাদের সাথে দেখা করে না ফোন করলে বলে গুলশান আছি বনানী আছি এই ভাবে অনেক খোজা খুজি করে পাঁচ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে ১৮-৫-২৪ ইং তারিখে মতিঝিল সিটি সেন্টার পিছনে কথিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডি ও কথিত অগ্রণী ব্যাংকের এমডি পরিচয়দানকারী দুই জন কে আটক করার পরে তাদের সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা এসে সিটি ব্যাংকের একটি চেক দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।পরবর্তীতে তাদের দেওয়া সেই চেক নিয়ে সিটি ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারি উক্ত অ্যাকাউন্ট এর বিপরীতে কোন টাকা নেই।ভুক্তভোগী আকাশ ও আরাফাতের অভিযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডি পরিচয়দানকারী আসাদ এক সময় বাংলাদেশ ব্যাংকে আউটসোর্সিং এ কর্মরত থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অপরাধ অপকর্মের কারণে উক্ত কোম্পানি তাকে চাকরিচ্যুত করে।আরেক কথিত অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি'র এমডি পরিচয়দানকারী আশরাফ অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি ইকুইটি এন্ড ইনভেসমেন্ট ইত্তেফাক শাখায় কর্মরত।কিন্তু তারা দুই জন তাদের প্রকৃত পরিচয় গোপন করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে তৈরি করেছেন ভয়ানক সিন্ডিকেট।তাদের প্রতারণার নিত্য নতুন ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে তরুণ উদ্যোক্তা ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা।এমনকি আসাদ ও আশরাফ তাদের এই অভিনব প্রতারণার জন্য তৈরী করেছেন শক্তিশালী সিন্ডিকেট সিন্ডিকেটের মূল টার্গেট হলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তরুণ উদ্যোক্তারা।আসাদ ও আশরাফ এর এই সকল প্রতারণা বিষয়ে বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তি ও এনপিএস এর চেয়ারম্যান মাহাবুব হোসেন বলেন এই সকল দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি কর্তৃপক্ষের উচিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের সুনাম রক্ষার জন্য এই দুই জঘন্য প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাংকের সুনাম অক্ষুন্ন রাখা।পরবর্তীতে এই বিষয়ে কথিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডি আসাদ এর মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আমি একসময় বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করতাম কিন্তু আপাতত আমার চাকরি নেই।প্রতিবেদক প্রশ্ন করেন তাহলে আপনি কেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডি পরিচয় দিয়ে আকাশ ও আরাফাত এর সাথে প্রতারণার মাধ্যমে বিজি লোন করিয়ে দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন আমি আকাশ ও আরাফাত এর টাকা দিয়ে দিবো বলে সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।পরবর্তীতে আরেক কথিত অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি'র এমডি পরিচয়দানকারী আশরাফ এর মুঠো ফোনে বার বার ফোন দিয়ে ও খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধান চলমান, বিস্তারিত আগামী পর্বে,,,,,
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.