সৌরভ মাহমুদ হারুন
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পূর্ণমতি গ্রামে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে প্রবাসী সোহাগ ভূঁইয়াকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাম হাতের কবজি কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, হামলায় জড়িত ছিলেন ফখরুল হাসান ও তার ভাই রেজাউল। এঘটনায় বুড়িচং থানায় সেনা সদস্য রেজাউল ও তার ভাই ফখরুলের নামে মামলা হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওসি তদন্ত মোঃ আমিনুল হক।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বুড়িচং সদর ইউনিয়নের পূর্ণমতি গ্রামে। গুরুতর আহত অবস্থায় সোহাগ ভূঁইয়াকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই হামলা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
ভুক্তভোগী সোহাগ ভূঁইয়া জানান, তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সেখানে থাকাকালীন তিনি জানতে পারেন, তার স্ত্রী মুন্নি আক্তারের সঙ্গে ফখরুল হাসানের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২২ সালে স্থানীয়রা ফখরুল ও মুন্নি আক্তারকে হাতে নাতে ধরলে, এলাকার স্থানীয় মেম্বার আমিনুল ইসলাম ও বাবুল মিয়া,ফিরোজ মিয়া সহ গণ্যমান্য মুরুব্বীগণ একটি সালিসী বৈঠক বসে এবং তাদেরকে সতর্কবার্তা দিয়ে ফখরুলের পিতা আবুল হাসেমের জিম্মায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর ২০২৩ সালের জুলাইয়ে সোহাগের সঙ্গে মুন্নি আক্তারের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
সোহাগ ভূইয়া আরও জানান প্রবাস থেকে তার আয়ের ১৪- ১৫ লক্ষাধিক টাকা পূর্বের স্ত্রী মুন্নি আক্তারের একাউন্টে পাঠিয়েছে। ওই টাকার হিসাব চাইলে সে পরক্রিয়া প্রেমিক ফখরুল ইসলাম এর ৮০ হাজার টাকা রয়েছে বলে জানান। বাকী টাকার কোন হিসেব নেই। টাকার হিসাব চাওয়া সোহাগের উপর তারা দুজন চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এর পর থেকে সোহাগ কে মারার জন্য জন্য বিভিন্ন ধরনের কলা কৌশল অবলম্বন করেন।
বিবাহ বিচ্ছেদের পর সোহাগ নতুন করে বিয়ে করেন। তবে মুন্নি আক্তার ও তার পরকীয়া প্রেমিক বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ শুরু করেন। চলতি মাসের ১ ডিসেম্বর তারা সোহাগ ভূঁইয়াকে মোবাইল ফোনে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে, না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
পূর্বপরিকল্পিতভাবে গত শুক্রবার সকালে সোহাগ বাড়ির সামনে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ফখরুল ও রেজাউল তাকে আটকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পাশের লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এই ঘটনায় সোহাগ ভূইয়ার স্ত্রী মোসাঃ দিতী বেগম বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় শুক্রবার রাতে অভিযোগ দায়ের করে।
বুড়িচং থানার ওসি তদন্ত মোঃ আমিনুল হক বলেন এ ঘটনায় শনিবার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রেজাউল করিম এক নম্বর আসামী। আমরা আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যহৃত রেখেছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.