ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় বেওয়ারিশ ও পাগলা কুকুরের উপদ্রব বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দল বেঁধে চলা এসব কুকুরের আক্রমণ করছে। এতে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীও আহত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও নারীরা এর শিকার হচ্ছে বেশি।
এছাড়া গৃহ পালিত পশু গরু, ছাগল ও অন্যান্য প্রাণীকে এসব বেওয়ারিশ কুকুর দলবেঁধে আক্রমণ করে। এতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এসব পশু গুলো মৃত্যুর খবরও পাওয়া যায়।
সিদলাই ইউনিয়নের পোমকাড়া গ্রামের আবদুল মান্নান তিনি বলেন, এ সব বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণের শিকারের কারণে অনেকে মাঠে গরু ছাগল চরানো বন্ধ করে দিয়েছে। এসব কুকুরের খাদ্যসংকট বেড়ে যাওয়ায় হাঁস, মুরগি, কবুতর, ছাগল ধরে নিয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় মানুষের ওপরও আক্রমণ করছে। বেওয়ারিশ এসব কুকুর আবর্জনার স্তূপ থেকে পচা-বাসি খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়ায়।
চান্দলা ইউনিয়নের আজাদ মিয়া বলেন, যে হারে পাগলা কুকুরের বিচরণ বাড়ছে তাতে খেলার মাঠে শিশুরাও নিরাপদ নয়। এ ছাড়াও প্রতিদিন আমাদের এলাকায় দুই একজন এ সব বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য আর এম ও ডাক্তার মনিরুল ইসলাম বলেন, পাগলা কুকুরের কামড়ে মানুষের শরীরে জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায়। এ রোগ মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে নিশ্চিত মৃত্যু। তাই মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা রেজিস্টার চিকিৎসা পরামর্শ নিয়ে ভ্যাকসিন দিতে হবে।
প্রতি সপ্তাহেই কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত মানুষ ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি ভাবে ভ্যাকসিন ছিল গত জানুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে। এ ছাড়াও মানুষের পাশাপাশি কুকুরের ভ্যাকসিনাইজেশন খুবই দরকার। এটি দেয়া থাকলে কুকুরগুলো নিরাপদ থাকবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.