মোস্তাক আহমেদ খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে তিনদিনের এক নবজাতক চুরির অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হন এক নারী। রাতে অভিযুক্ত নারী একটি কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন। এমন ঘটনায় শহরজুড়ে আলোচনা চলছে।
শিশু চুরির ঘটনায় পুলিশের হাতে আটককৃত নারী সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের সিন্দুরা গ্রামের নিয়াজ আহাম্মদ লিটনের স্ত্রী তানিয়া।
পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের ফরিদ মিয়ার স্ত্রী রেখা আক্তার (২৭) গত তিনদিন আগে জেলা সদর হাসপাতালে একটি ছেলেসন্তান প্রসব করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে এসে তানিয়া নিজেকে দানশীল ব্যক্তি পরিচয় দেন। নবজাতকের মা রেখার পাশে থাকা তার দাদিকে ওই নারী ৫০০ টাকা দিয়ে ফল আনতে বলেন। শিশুটিকে ডাক্তার দেখাতে হবে বলে কোলে নেন।
রেখার ১১ বছরের বোনকে নিয়ে নবজাতকটিকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে ওই নারী প্রথমে স্বর্ণের একটি আংটি ১৫ হাজার টাকায় বিক্রয় করে রেখার বোনের কাছে দেন। সেখান থেকে প্রথমে কুমারশীল মোড় আমিন কমপ্লেক্সে এক শিশু চিকিৎসকের চেম্বারে যান। কিন্তু সিরিয়াল না পেয়ে আরেক শিশু চিকিৎসকের চেম্বারে যান। ওই হাসপাতালে রেখার বোনকে টয়লেটে পাঠিয়ে নবজাতকটিকে নিয়ে পালিয়ে যান তানিয়া।
খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে। তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে সদর উপজেলার সিন্দুরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে নবজাতকসহ তানিয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। রাতে সন্তান প্রসবের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত নারী পুলিশের মাধ্যমে তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল ইসলাম জানান, নবজাতক চুরির ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তানিয়া নামের এক নারীকে নবজাতসহ আটক করা হয়। আটকের পর জানা যায়, তিনি নিজেও সন্তানসম্ভাবা। রাতে সন্তান প্রসবের লক্ষণ দেখা দিলে আমরা নারী পুলিশ দিয়ে হাসপাতালে পাঠাই। সেখানে সিজারের মাধ্যমে তার একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। মা ও সন্তান সুস্থ আছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2024 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.