চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ২৬ জুন বিকালে বেইজিংয়ের গণমহাভবনে, ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিনের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে সি চিন পিং বলেন, “গত বছরের শেষ দিকে আমি ভিয়েতনাম সফরের সময়, সাধারণ সম্পাদক নুয়েন ফু চাওয়ের সঙ্গে একযোগে কৌশলগত চীন-ভিয়েতনাম অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিই , যার মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। এরপর বিগত ছয় মাস ধরে, দুই পার্টি ও দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিনিময় ও নানান খাতে সহযোগিতা সুষ্ঠুভাবে চলেছে। এটি দু’দেশের জনগণের জন্য বাস্তব কল্যাণ বয়ে আনছে।”
সি চিন পিং বলেন, “দু’দেশের অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠা করা দু’দেশের আধুনিকায়নের চাহিদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়ক। চীন ভিয়েতনামের সাথে একযোগে একতা, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সমর্থন দৃঢ়ভাবে জোরদার করতে ইচ্ছুক। পাশাপাশি, ভিয়েতনামের সাথে সহযোগিতা জোরদার করে, হাতে হাত রেখে, আধুনিকায়ন বাস্তবায়নে কাজ করতে চায় চীন এবং একসাথে বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য আরও বড় অবদান রাখতে আগ্রহী।”
প্রেসিডেন্ট সি জোর দিয়ে বলেন, “চীন সার্বিকভাবে সংস্কার আরও গভীরতর করার ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের পথে সামনে এগিয়ে যাবে, যা দু’দেশের মধ্যে নানা খাতে সহযোগিতার নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। দু’পক্ষের উচিত, উচ্চ পর্যায়ের বিনিময় বজায় রাখা, একযোগে উচ্চ গুণগত মানের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ সহযোগিতা উন্নত করা, দু’দেশের মধ্যে আন্তঃসংযোগ আরও উন্নত করা, এবং দু’দেশের বাস্তব সহযোগিতার গুণগত মানের উন্নয়নে কাজ করা।”
সি আরও বলেন, দু’পক্ষের উচিত সুষ্ঠুভাবে সাগরবিষয়ক সমস্যা সমাধান করা এবং একযোগে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা। বৈঠকের সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: আকাশ, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2024 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.