ভূঞাপুর পৌর শহরের প্রতিটি পয়েন্টে যানজট এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না কেউই। ঠিক সময়ে স্কুল-কলেজ এমনকি মাদরাসায় যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
সড়কের দুপাশে ব্যাটারিচালিত ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণেই এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ পৌরবাসীর। এর জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বের অবহেলা ও তদারকির অভাবকে দায়ী করছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভার একটু দূরেই আজমতের মোড় থেকে শুরু করে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বেশি মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু এ পয়েন্টে সড়কের দুপাশ দখল করে অটোরিকশার পার্কিং গড়ে উঠেছে। ভূঞাপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র ভূঞাপুর বাজার, হাসপাতাল রোড, থানার সামনে, কলেজের সামনে, ইবরাহিম খাঁর মাজারের সামনে এমনকি বাসস্ট্যান্ড সহ ৬/৭ টি পয়েন্টে অটোরিকশার অবৈধ পার্কিং গড়ে ওঠায় প্রতিনিয়ত যানজট লাগছে। শহর ঘুরে দেখা যায়, অটোরিকশার চালকরা ইচ্ছে মতো যেখানে খুশি সেখানে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন আবার রাস্তার মধ্যেই গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের তুলছেন। এতে যেমন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনাও।
ভূঞাপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যানজটের কারণে নাজেহাল অবস্থা থাকে। গুরুত্বপূর্ণ কাজে রিকশা দিয়ে যে জায়গায় ৫ মিনিটে যাওয়ার কথা সেই জায়গায় পৌঁছাতে ২০ মিনিট লাগছে। ফলে অনেক সময় হেঁটেই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। এই যানজট নিরসনে পৌর কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।’
থানা মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী সুজন বলেন, ‘দোকানের সামনে দাঁড় করিয়ে অটোরিকশায় যাত্রী তোলা হয়। কিছু বললে চালক উল্টো আমাদের গালাগালি করে। আসলে শহরের যানজটের বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে উপজেলা ইজিবাইক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাবু বলেন, পৌরসভার অনুমোদিত সাড়ে ৬০০ অটোরিকশা চলাচল করছে। লাইসেন্সবিহীন অনেক অটোরিকশা শহরের ঢুকে পড়লে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে আমরা লক্ষ্য রাখছি।
ভূঞাপুর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক আরজু বলেন, " ভূঞাপুর বাজারের এই যানজট নিরসনে ইতিমধ্যে আমরা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।"
ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, "বাজারের যানজট নিরসনে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে পুলিশ প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করলে যারা অবৈধ পার্কিং গড়ে তুলেছে তাদের উচ্ছেদ করতে সহজ হবে।"
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.