টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের গাবসারা ইউনিয়নে যমুনা নদী থেকে মাছ ধরার ৪৭ টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল ও ২ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করেছে উপজেলার গোবিন্দাসী পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। নিষিদ্ধ ঘোষিত জাল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন গোবিন্দাসী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোঃ ইউনুছ মুন্সী - এসআই কমল চন্দ্র সরকার ও তার সঙ্গীও ফোর্স। পরে জব্দকৃত জাল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নির্দেশে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম শাপলা "দৈনিক মুক্তির লড়াই" প্রতিনিধিকে জানান, নিষিদ্ধ এ চায়না জালের যত্রতত্র ব্যবহার বন্ধে উপজেলার গোবিন্দাসী পুলিশ ফাঁড়ির অভিযানে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না জাল জব্দ করে গতকাল বিকেলে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়। যার মূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকার করা সরকারিভাবে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। ছোট মাছ ও মা মাছ রক্ষার্থে, এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির করতে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ এ ধরণের চায়না জাল ব্যবহার বন্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকা খুবই দরকার।
উল্লেখ্য যে, চায়না জাল বা ম্যাজিক জাল এক ধরনের বিশেষ ফাঁদ। এটি প্রায় ৬০ থেকে ৮০ ফুট লম্বা। ছোট ছোট কক্ষ বিশিষ্ট খোপের মতো। খাল-বিল, নদী-নালা ও জলাশয়ে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে জালের দু’মাথা বেঁধে রাখা হয়। ছোট-বড় সব ধরনের ডিমওয়ালা মাছ এ জালে আটকা পড়ে।
এ বিষয়ে উপজেলার গোবিন্দাসী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোঃ ইউনুছ মুন্সী - এসআই কমল চন্দ্র সরকার জানান প্রায় সারাদিনব্যাপী অভিযানে যমুনা নদীতে পাতানো অবস্থায় উদ্ধারকৃত ম্যাজিক চায়না দুয়ারী সর্বমোট ৪৭ টি ও ২০০০ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করে পরে জব্দকৃত জাল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নির্দেশে পোড়ানো হয়।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ চায়না জাল ও কারেন্ট জাল ব্যবহার বন্ধে আমাদের সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ব্যবহারকারির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.