মোঃ ওয়াহিদ, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নাম মেন্দিপুর সড়ক। এই সড়কটি উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম। প্রতিদিন প্রায় এই সড়ক দিয়ে কয়েকশত যানবাহন চলাচল করে। প্রতিদিন যাতায়াত করে তিন ইউনিয়নের ২০ হাজার সাধারণ মানুষ।
দিন দিন সংস্কারের অভাবে বেহাল দশা হয়ে রয়েছে সড়কটি। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংস্কারের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকায় বাসিন্দারা। সোমবার ৩ মার্চ বেলা ১২টায় উপজেলা পরিষদের সামনে সড়কটির সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন উপজেলার তিন ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
বিক্ষোভ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন বরাবর একটি লিখিত আবেদন দেন এলাকাবাসী। এছাড়াও সড়কটি সড়ক ও জনপদের হওয়ায় উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বরাবর আরেক টি লিখিত আবেদন দেন তারা।
এ সময় গ্রামবাসীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, সুমন মিয়া, আবুল কালাম, দুলাল মাস্টার, সাদেকপুর ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রুবেল মিয়া, মহিবুর ভূঁইয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক জুবায়েদ মাহমুদ ও মোহাম্মদ কায়জার প্রমুখ।
এছাড়াও উপজেলার সাদেকপুর, শ্রীনগর ও শিমুলকান্দি এলাকার কয়েক শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, ভৈরব উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়ক ভৈরব থেকে মেন্দিপুর সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। এই সড়কটি সাদেকপুর, শ্রীনগর ও শিমুলকান্দি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র যাতায়াতের পথ। যা বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তায় অসংখ্য বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তগুলিতে পানি জমে খালে পরিণত হয়। আবার শুকনো মৌসুমে ধুলাবালিতে পথচারীদের শরীর ভরে যায়।
এতে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দেয়। প্রতিদিন শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা এই রাস্তা যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে রোগী পরিবহনে চরম অসুবিধা হচ্ছে, যা জীবনহানির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক জুবায়েদ মাহমুদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কটির সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমাদের অনুরোধ, অবিলম্বে ভৈরব থেকে মেন্দিপুর পর্যন্ত সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। যদি দ্রুত সংস্কার না হয় আমরা তিন গ্রামের হাজারো মানুষ কঠোর আন্দোলনে যাবো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন বলেন, আমি ইতিমধ্যে কয়েকবার ভৈরব থেকে মেন্দিপুর সড়কে যাতায়াত করেছি। সড়কটির বেহাল দশা। রাস্তাটি পৌরসভা ও এলজিআরডির আওতাভুক্ত নয়। এটি সড়ক ও জনপদের অন্তর্ভুক্ত। আমি ইতিমধ্যে সড়কটি সংস্কারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেছি। টেন্ডার হয়েছে শুনেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.