শাহিনুর রহমান পিন্টু, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের মাঠের রাস্থায় বাঁশের বেড়া দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দুই গ্রামের প্রায় ১ হাজার ৫ শত জন কৃষক। বাঁশের বেড়ার কারনে রাস্তাটি বন্ধ থাকায় চলতি মৌসুমে মাঠটির প্রায় ১ হাজার বিঘা ইরি ধান বাড়িতে আনা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন দুই গ্রামের কৃষক।
জানাগেছে , ৪০ বছর আগে সুবিদপুর গ্রামের মৃত ইসহাক আলী মন্ডলের পরিবার মাঠ থেকে কৃষকদের ফসল আনার সুবিধার্থে ২ শতক জমি রাস্তার জন্য দান করেন। কিন্তু ১৯৯০ সালে জরিপ কার্যক্রমে ভূল বশত মৃত ইসহাক আলী মন্ডলের নামে ওই জমি রেকর্ড হয়ে যায়। এরপর দান করা এ জমিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) তারিখে মৃত ইসহাক আলীর স্ত্রী ফাহিমা খাতুন ও জামাই আক্তারুল ইসলাম ৬ দিন পূর্বে বাশেঁর বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয় । রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদে শনিবার (১৯ এপ্রিল) সুবিদপুর ও মোল্লাকুয়া গ্রামের প্রায় শতাধিক কৃষক বন্ধ রাস্তার সামনে মানববন্ধন ও মিছিল করেন।
সে সময় সুবিদপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস জানান, এ রাস্তাটি আমরা দীর্ঘদিন ব্যবহার করছি। কিন্তু হঠাৎ করে ইসহাক আলীর স্ত্রী ফাহিমা খাতুন ও জামাই আক্তারুল ইসলাম এ রাস্তা বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছে। এখন আমরা মাঠের ধান কিভাবে বাড়িতে নিয়ে যাব ?
বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করা ফাহিমা খাতুনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন কলটি তার কন্যা মুক্তি বেগম রিসিভ করে বলেন , গ্রামের মানুষ আমিন এনে রাস্তা মেপেছে। ওই জায়গাটি আমাদের নিশ্চিত হয়ে তারপর ওখানে আমরা মাটি ফেলে ঘিরে দিয়েছি। আর এ সময় গ্রামের অনেক লোক এবং মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য জসীম উদ্দীন বলেন, গ্রামবাসী সকলের সাথে আলাপ-আলোচনা করে জমিতে বেড়া দেওয়া হয়েছিল। এখন কিছু লোক এসব নিয়ে মাতামাতি করছে।
আর এসব লোকের রাজনৈতিক পরিচয় তারা আওয়ামী লীগ করে। কৃষকের ধান ঘরে ওঠার প্রধান অন্তরায় রাস্তার উপর বেড়া দেওয়ার ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি বলেন, ঘটনাটি জানলাম। অত্র ইউনিয়নের প্রশাসকের সহায়তায় সমস্যার সমাধান করতে দ্রুত নেওয়া হবে উদ্যোগ। কেননা মাঠে কৃষকের পাকা ধান। সময় মত কেটে ঘরে তুলতে না পারলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.