পরম করুণাময় রাব্বুল আলামীন মানবজাতিকে অফুরন্ত নেয়ামত দান করেছেন, সর্বোত্তম ও শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন। পাশাপাশি আমাদেরকে সর্বশ্রেষ্ঠ নবি ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মাত হওয়ার গৌরব দান করেন। আর শ্রেষ্ঠ নবি ও রাসূল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর খাতিরে তাঁর উম্মাতদের অনেক বৈশিষ্ট্য এবং মর্যাদা দান করেন, লাইলাতুল কদর তার মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এ মহিমান্বিত রজনীর গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে সম্যক ধারনা লাভ করত: তা যথাযথভাবে পালনে সর্বোচ্চভাবে সচেষ্ট হওয়া। আল্লাহ ত’আলা বলেন: “লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ”(সূরা কদর: ৩)। হযরত আবু হুরাইরা -রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু- রাসূল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদর পালন করে, তার অতীতের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়”(সহিহুল বুখারি: ১৯০১ ও সহিহ মুসলিম: ৭৫৯)।
ক. লাইলাতুল কদরের পরিচয়: লাইলুন শব্দটি আরবি,অর্থ: রাত,রাত্র,রাত্রি,নিশি বা রজনী। আর কদর অর্থ: মহিমান্বিত, সম্মানিত, মর্যাদাবান, পুণ্যময়, মূল্য, ভাগ্য, তাকদীর, নিয়্যতি,অদৃষ্ট,পরিমাণ, ইত্যাদি। অতএব লাইলাতুল কদর অর্থ: মহিমান্বিত রজনী, পুণ্যময় রজনী,ভাগ্য রজনী, মর্যাদাবান রাত, ইত্যাদি। পরিভাষায়: লাইলাতুল কদর এমন বরকতময় ও মর্যাদাবান রাত, যা রমাদানের শেষ দশকে অবস্থিত, যাতে কুরআনুল কারিম অবতীর্ণ হয় এবং যে রাতের ইবাদত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম ।
খ. লাইলাতুল কদরের অবস্থান: চার মাজহাবের উলামাগণ ঐক্যমত যে, মহিমান্বিত এ রজনী রমাদান মাসেই বিদ্যমান। আল্লাহ তা’আলার ভাষায়: “এ কুরআন আমি কদরের রাতে অবতীর্ণ করেছি”(সূরা ক্বদর: ১)। তিনি আরো বলেন: “রমাদান এমন মাস যাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে”(সূরা আল-বাক্বারাহ:১৮৫)। অতএব, সন্দেহাতীতভাবে প্রমানীত যে, ইহা রমাদান মাসেই অবস্থিত। তবে রমাদান মাসের কোন রজনীতে এটি বিদ্যমান সে বিষয়ে আলেমগণের মাঝে একাধিক মত পাওয়া যায়। যেমন-
১. জমহুর আলেমগণের মতে: লাইলাতুল কদর রমাদানের শেষ দশকে অবস্থিত, তবে তাঁরা ২৭ রমাদানকে প্রাধান্য দিয়েছেন। যেমন-উবাই ইবন কা’ব -রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু- লাইলাতুল কদরের বিষয়ে বলেন: “আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় আমি উহা সম্পর্কে অধিক জানি, যে রাত্রি পালনের জন্য রাসূল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- আমাদের নির্দেশ করেছেন তা (রমাদানের) ২৭তম রজনী”(সহিহ মুসলিম)।
২. ইবনু হাজার আসকালানী, মাওয়ারেদী ও ইমাম নববী (রহ) এর মতে: ইহা রমাদানের শেষ দশকে, তবে প্রতি বছর একই রাত্রিতে নয়; বরং বিভিন্ন বছর বিভিন্ন রাতে সংঘটিত হয়ে থাকে। উম্মুল মুমেনীন হযরত আয়শা -রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা- হতে বর্ণিত, রাসূল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ইরশাদ করেন: ‘তোমরা রমাদানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর তালাশ করো’(সহিহুল বুখারি: ২০২০, সহিহ মুসলিম: ১১৬৯)।
৩. একদল আলেমের মতে: ইহা রমাদানের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিসমূহে বিদ্যমান। উম্মুল মুমেনীন হযরত আয়শা -রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহা- হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ইরশাদ করেন: “তোমরা রমাদানের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো” (সহিহুল বুখারি: ২০১৭)। অনুরূপভাবে-হযরত আবু সা’ঈদ খুদরী -রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু- হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন, অতপর তিনি বলেন:“আমাকে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়েছিল; কিন্তু আমি তা ভুলে গেছি/ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তবে তোমরা তা রমাদানের শেষ দশকের প্রত্যেক বিজোড় রাত্রিতে তালাশ করো”(মুত্তাফাকুন আলাইহি)। উপরোক্ত প্রমাণাদির প্রেক্ষিতে প্রতীয়মান হয় যে, লাইলাতুল কদর রমাদানের শেষ দশকে বিদ্যমান, আরো একটু সহজ করলে শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিসমূহে অবস্থিত। যদিও ২৭তম রাত্রিতে হওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি; কিন্তু শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিসমূহ তথা ২১,২৩,২৫,২৭ ও ২৯তম রজনীতে তালাশ করাই অধিক নিরাপদ।
গ. লাইলাতুল কদর গোপন রাখার হেকমত:
হাকেমের কোন কাজই হেকমত হতে মুক্ত নয়। কেননা রাসূল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- জানতেন ইহা কোন রজনীতে। কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর স্মৃতি থেকে তখন তা ভুলিয়ে সাহাবায়ে কিরামদের নির্দিষ্ট করে বলা হতে বিরত রাখেন। যেমন- হাদীসের ভাষায়: উবাদাতা ইবন ছামিত রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি রাসূল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- হতে বর্ণনা করে বলেন:“নবি -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- আমাদের-কে লাইলাতুল কদরের সংবাদ দেয়ার উদ্দেশ্যে বের হলেন; কিন্তু সাহাবীদের মধ্যে দু’জন পরস্পর জোরে শব্দ করছিলেন। তিনি বলেন, আমি তোমাদের-কে লাইলাতুল কদরের খবর দেয়ার জন্যে বের হয়েছিলাম; কিন্তু অমুক ও অমুকে শোরগোল করছিল, অত:পর আমার স্মৃতি হতে তা সরিয়ে নেয়া হলো। আশা করি এটি তোমাদের জন্য কল্যাণকর”(সহিহুল বুখারি)। লাইলাতুল কদর গোপন রাখার হেকমত-
১. কারা এ মর্যাদাপূর্ণ রজনী পেতে সচেষ্ট হয় আর কারা গাফিল থাকে, আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে মুমিনদের জন্য ইহা এক বিশেষ পরীক্ষা।
২. মানব জাতি এ রাত্রির গুরুত্ব অনুধাবন করত: তা যথাযথভাবে পালনে সচেষ্ট হবে।
৩. এ মহিমান্বিত রজনী তালাশে রোজাদারগণ যেন সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে।
৪. এ সৌভাগ্য রজনী পাবার জন্য একাধিক রাতে আল্লাহ তা’আলার ইবাদতে মশগুল হয়ে বান্দা লাভবান হবে।
৫. বেশি বেশি ইবাদতের মাধ্যমে মহান মনীবের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করবে।
৬. সর্বোপরি ধৈর্য ও একাগ্রতার সাথে আল্লাহ তা’আলার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার মাধ্যমে নিজেদেরকে সম্মানিত করার সুবর্ণ সুযোগ লাভে সচেষ্ট হবে, ইত্যাদি।
গ. লাইলাতুল কদরের মর্যাদা: লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও মর্যাদা এত বেশি যার ওপর মহান রাব্বুল আলামীন কুরআনুল কারিমে পরিপূর্ণ একটি সূরা নাযিল করেন। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন: “নিশ্চয়ই আমি কুরআন মহিমান্বিত রজনীতে অবতীর্ণ করেছি। এ মহিমান্বিত রজনী সম্বন্ধে আপনি কী জানেন? এ মহিমান্বিত রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতাগণ ও জিব্রাঈল অবতীর্ণ হয়, প্রত্যেক কাজে তাদের রবের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, উষার আবির্ভাব পর্যন্ত”(সূরা কদর: ১-৫)। হযরত আনাস -রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু- হতে বর্ণিত তিনি বলেন:“নিশ্চয়ই এ রজনীর সালাত, যাকাত ও সদাকাহ বা দান হাজার মাসের চেয়ে উত্তম’। হযরত আবু হুরাইরা -রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ইরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় এ রাত্রি ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করে আল্লাহ তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেন”(সহিহুল বুখারি ও সহিহ মুসলিম)। রাসূল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- অন্যত্র বলেন: ‘রমাদান মাসে রয়েছে এমন এক মহিমান্বিত রজনী যা হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, যে ব্যক্তি এর কল্যাণ হতে বঞ্চিত হলো সে চিরবঞ্চিত’(আহমদ)। তাবেয়ী মুজাহিদ (র.) বলেন: ‘এ রাতের ইবাদত, তেলাওয়াত, কিয়াম ও অন্যান্য আমল লাইলাতুল কদর ছাড়া হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম’(ইবনে কাসির: খ/১৮, পৃ.২২৩)।
অতএব আমরা বলতে পারি, এ রাতের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক অনেক বেশী। যে ব্যক্তি সিয়াম পালনের পাশাপাশি এ রজনীতে কিয়াম, কুরআন তিলাওয়াত, জিকর, দু’আ, ইস্তেগফারসহ অন্যান্য ইবাদতের মাধমে অতিবাহিত করবে সে যেন ৮৩ বছর ৪ মাসের চেয়েও অধিক সময় ইবাদত করল। তাই এ সেীভাগ্যময় রজনী লাভ করা সকল মুমিনের ঐকান্তিক কামনা ও বাসনা হওয়া উচিত। এ রাত্রির অপরিসীম গুরুত্ব ও ফযিলতের কয়েকটি দিক নিম্নরূপ-
১. এ রজনীতে রাব্বুল আলামীন কুরআনুল কারীম নাযিল করেন। আল্লাহ তা’আলা বলেন: “নিশ্চয় আমি ইহা (কুরআন) কদরের রাতে অবতীর্ণ করেছি”(সূরা কদর: ১)।
২. এটি একটি অতি বরকতময় রজনী। কুরআনের ভাষায়: “নিশ্চয় আমি ইহা (কুরআন) বরকতময় রজনীতে নাযিল করেছি”(সূরা দুখান: ৩)।
৩. এ রাতে মানুষের ভাগ্য পুণ:বণ্টিত হয়। কুরআনুল কারীমের ভাষায়: “এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় বন্টিত হয়”(সূরা দুখান: ৪)।
৪. এ রাত্রি হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। আল্লাহ তা’আলা বলেন: “কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ” (সূরা কদর: ৩)।
৫. এ রাতে ফেরেশতাগণ রহমত, বরকত, কল্যাণ ও মহান রবের ক্ষমা নিয়ে অবতীর্ণ হন। কুরআনের ভাষায়: “ঐ রাতে ফেরেশতাগণ ও জিব্রাঈল অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের রবের অনুমতিক্রমে” (সূরা কদর: ৪)।
৬. এ রজনীতে আল্লাহ তা’আলা বিশেষ শান্তি ও ক্ষমা ঘোষনা করেন। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন“শান্তিই শান্তি, সেই রজনী উষার আবির্ভাব পর্যন্ত”(সূরা কদর: ৫)।
ঘ. লাইলাতুল কদরে করণীয়: লাইলাতুল কদর আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে মানবজাতির জন্য এক শ্রেষ্ঠ উপহার। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এ পুণ্যময় ও মহিমান্বিত রজনীর প্রত্যেকটা মুহুর্তকে যথাযথ গুরুত্বের সাথে কাজে লাগিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জনে সর্বোচ্চভাবে সচেষ্ট হওয়া। এ রাতের উল্লেখযোগ্য করণীয়-
১. সিয়াম সাধনার পাশাপাশি এ মর্যাদাবান রজনীকে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করা।
২. রমাদানের শেষ দশকে এ মহিমান্বিত রজনী তালাশ করা।
৩. ফরজ সালাতসমূহ জামাতের সাথে আদায় করা।
৪. সালাতুত তারাবীহ, নফল সালাত, কুরআন তিলাওয়াত, জিকর, তাসবীহ, তাহলীল, দু’আ, দরুদ, ও অন্যান্য ইবাদতের মাধ্যমে এ রাত্রি পালন করা।
৫. আল্লাহ তা’আলার দরবারে খালেসভাবে তাওবা ও ইস্তেগফার করা।
৬. পিতা-মাতার অনুগত থাকা, তাঁদের সাথে সদাচরন করা ও তাঁদের থেকে দু’আ নেয়া।
৭. পিতা-মাতা, নিকটাত্মীয় ও সকল মুসলিমের জন্য দু’আ করা।
৮. যাবতীয় হারাম ও অন্যায় কাজ হতে নিজকে মুক্ত করে নেয়ার ওয়াদা করা এবং তা পালন করা।
৯. অন্যের হক নষ্ট করলে, আমানতের খেয়ানত করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হক প্রদানের মাধ্যমে মুক্তি লাভের চেষ্টা করা।
১০. অন্যায়ভাবে কাউকে কোনরূপ কষ্ট দিয়ে থাকলে, তার নিকট হতে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া।
১১. পরিবারের অন্য সকল সদস্যকে রাত্রি জাগরনের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।
১২. সালাতুত তাহাজ্জুদ আদায় করা।
১৩. কুরআনুল কারিমের সাথে নিজেদের সম্পর্ক গভীর করা, অধিক অধিক তিলাওয়াত করা, বুঝার চেষ্টা করা এবং সে অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালনা করা।
১৪. আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর আদিষ্ট বিষয়গুলোর পরিপূর্ণ প্রতিপালন ও নিষিদ্ধ বিষয়গুলো বর্জনে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়া।
১৫. কল্যাণ, সফলতা ও মুক্তির লক্ষ্যে বেশি বেশি চেষ্টা করা।
১৬. মহান রবের নিকট বিশেষ রহমত ও ক্ষমা প্রার্থনা করা। হাদীসে এসেছে, উম্মুল মুমেনীন হযরত আয়শা -রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা- হতে বর্ণিত, তিনি রাসূল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করেন, হে রাসূল! যদি আমি লাইলাতুল কদর জানতে পারি তাহলে তাতে কী বলব ? রাসূল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- তাঁর জবাবে বলেন: ‘তুমি বলবে, ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালবাসেন, আমাকে ক্ষমা করে দিন’(তিরমিজি)।
১৭. এ মহিমান্বিত রজনীর অন্বেষণ শুধু ২৭তম রাতে সীমাবদ্ধ না রেখে শেষ দশকের বিজোড় রাতসমূহে তালাশ করা।
পরিশেষে মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদের-কে এ পুণ্যময় ও মহিমান্বিত রজনী নসীব করেন, এর সকল কল্যাণ ও বরকত দান করেন এবং যে কুরআনের বদৌলতে এ মাস ও রাত্রি এত মর্যাদাশীল সে কুরআন পড়ার, বুঝার ও সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করেন। আমীন!
লেখক:
হোসাইন মোহাম্মদ ইলিয়াস
কামিল, বিএ (অনার্স), কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি, রিয়াদ, সৌদি আরব,
বিএ (অনার্স), এমএ, এমফিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
উপাধ্যক্ষ, নিবরাস মাদরাসা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2024 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.