প্রিন্ট এর তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫, ১১:০৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫, ৫:০৬ পি.এম
মুরাদনগরে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবতীকে টেঁটা বিদ্ধ করলেন চাচা
মাহফুজুর রহমান:
কুমিল্লার মুরাদনগরে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে হোসনা আক্তার(৩৪) নামের এক যুবতীকে টেঁটা বিদ্ধ করে আহত করেছে তার আপন চাচা মজিবুর রহমান। মঙ্গলবার রাতে এমনি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা মূহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ভাইরাল এভিডিও দেখে তীব্র সমালোচনার ঝড় তুলেছেন নেটিজেনরা। মঙ্গলবার বিকেলে মুরাদনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের হীরার কান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় হোসনা আক্তারের ভাগনী আফসানা আক্তার লিজাও টেটা বিদ্ধ হন। আহত হোসনা আক্তার হামলাকারী মজিবুর রহমানের ভাই লিল মিয়ার মেয়ে। মঙ্গলবার রাতেই হোসনা আক্তারের বোন আছমা বেগম বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হোসনা আক্তারের বাবা লিল মিয়া তার সকল সম্পত্তি স্ত্রী জামেনাা বেগমের নামে লিখে দেন। চার বছর আগে লিল মিয়ার মৃত্যুর পর ভাই মুজিব মিয়া বাড়িটি দখল করার জন্য বিভিন্ন সময় জামেনা বেগমের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। ঘটনার দিন জামেনা বেগম নিজের বাড়ির জায়গায় লাকরি শুকাতে দিলে এটি তার জায়গা নয় বলে মজিবুর রহমান, তার স্ত্রী রহিমা বেগম, ছেলে আনিছুর রহমান, মেয়ে ডালিয়া আক্তার জামেনা বেগমকে বাঁধা দেন এবং গালমন্দ করতে থাকে। এতে জামেনা বেগম প্রতিবাদ করলে মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী সন্তানরা ক্ষিপ্ত হয়ে জামেনা বেগমকে মারধর করতে থাকে। জামেনা বেগমের আর্তচিৎকার শুনে মেয়ে হোসনা আক্তার ও নাতনি আফসানা আক্তার লিজা ছুটে এলে তাদেরকেও মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে মজিবুর রহমান ঘর থেকে মাছ ধরার টেঁটা এনে হামলা করলে হোসনা আক্তারের হাতে টেঁটা বিদ্ধ হয়। এসময় আফসানা আক্তার লিজার হাতেও টেঁটা বিদ্ধ হয়। এলাকাবাসী টেঁটা বিদ্ধ অবস্থায় হোসনা আক্তারকে এবং আহত লিজা ও জামেনা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে আফসানা আক্তার লিজা ও জামেনা বেগমকে চিকিৎসা দেওয়া হলেও হোসনা আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত আফসানা আক্তার লিজা বলেন, আমার নানার মৃত্যুর পর বাড়িটি দখল করার জন্য মজিবুর রহমান কয়েকবার আমার নানীকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার মা খালারাও মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী সন্তানদের হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। আমরা মজিবুর রহমানকে দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি জানাই।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। রাতেই দুইজন নারীকে আটক করা হয়েছে। মজিবুর রহমান সহবাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.