মোহাম্মদ আজগার আলী,
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর হোটেলে জবাই করা পোড়া হাঁস বিক্রয়ের সময় স্থানীয় জনতার হাতে আটক হন পার্বতীপুরের হাঁস ব্যবসায়ী মাহমুদ (২৪)। মাহামুদ আলী পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের ঝাউপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের পুত্র।
স্থানীয় বাসিন্দা সেকেন্দার আলী জিন্না বলেন, জবাই করা হাঁস পুড়ে ব্যাগে করে মটরসাইকেল যোগে ফুলবাড়ীর বিভিন্ন হোটেলে কম দামে সরবরাহ করছিলো হাঁস ব্যবসায়ী মাহমুদ। আমরা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসা করি যে আপনি যে হাঁস পুড়ে হোটেলে দিচ্ছেন সেটা কি মরা না জীবিত। সে প্রশ্নে মাহমুদ জানান সে তেমন একটা জানেন না। সে তার এলাকার আশারফুল ইসলাম এর কাছে থেকে এভাবে নিয়ে বাজারে বিক্রয় করছে। এমন আরো কয়েকজন আছে তারা আশরাফুলের কাছ থেকে হাঁস নিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় বিক্রয় করছে।
ফুলবাড়ী বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী আবু তাহের জানান, আমরা বেশ কিছুদিন যাবৎ দেখছি এই মাহমুদ ফুলবাড়ীর ভাতের হোটেল গুলোতে জবাই করা ও পোড়া হাঁস বিক্রয় করছে। আমরা বাজারে জীবিত হাঁস ৬ শত টাকা কেজি দরে বিক্রয় করে পোষাতে পারছিনা আর মাহমুদ হাঁস জবাই করে পুড়ে ৫শত ৫০ টাকায় কিভাবে বিক্রয় করছে। হয়তো মরা হাঁস পুড়ে সে নিয়ে এসেছে। পরে এভাবে মৃত্য হাস না বিক্রয় করার স্বর্তে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কম দামে হাঁস পেলেই যে হোটেলে রান্না করে বিক্রয় করতে হবে সেটা কিন্তু একদম ঠিক না। পশু পাখির মাধ্যমে বার্ডফ্লুসহ নানা ধরনের জীবানু মানুষের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। তাছাড়া হাঁসের অনেকে খামারেই হাঁস মারা যায়। এই ধরনের ব্যবসায়ীরা হাঁস পুড়ে এনে বিক্রয় করে তাহলে ক্রেতারা কিছাবে বুঝবে তারা জীবিত হাঁস না মৃত হাঁস খাচ্ছেন। স্থানীয় সুধিজন মনে করেন যে এভাবে হাঁস না কিনে জীবিত হাঁস কিনে বাড়ীতে জবাই করে খাওয়া ভালো। এতে নিজেকে আর কোন প্রাকার সন্দেহ থাকে না।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.