খন্দকার তাওরিদ রহমান
ঢাকার মেট্রোরেল। দেশের সর্বোচ্চ উন্নত মেগা প্রকল্প। সময় সচেতনতা বৃদ্ধিতে সতর্ক যেন রাজধানীর মেট্রোগ্রামি যাত্রীরা।
তবুও দুর্ভোগ কমছে না যাত্রীদের।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। এখানে উন্নয়নের হার যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি বৃদ্ধি পাচ্ছে জীবনযাত্রার মানও। তাই উন্নত জীবনের তাগিদে চলতে হয় বহুদূর, ছুটতে হয় নানান জায়গায়। ঠিক উন্নত জীবনমানের বাস্তব উদাহরণ যেনো ঢাকার মেট্রোরেল। এটি একটি দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা। ২০১৩ সালে অতি জনবহুল ঢাকা মহানগরীর ক্রমবর্ধমান যানবাহন সমস্যা ও পথের দুঃসহ যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। যার অধীনে প্রথমবারের মত ঢাকায় মেট্রো রেল স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়। জীবনের তাগিদে ও কর্মক্ষেত্রকে ঘিরে যেখানে রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে যেতে আগে সময় লাগতো প্রায় (৩-৩.৩০ মিনিট) তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা, সেখানে উন্নত এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় কমে এখন লাগছে মাত্র (৩২-৩৮) বত্রিশ থেকে আটত্রিশ মিনিট। যার কারণে কমেছে ভোগান্তি বেড়েছে কর্মঘন্টা। গত ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ সালে এমআরটি লাইন ৬-এর দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকায় মেট্রোরেল আংশিক চালু হয় এবং তিনি ই মেট্রোরেলের প্রথম আনুষ্ঠানিক যাত্রার অংশ ছিলেন। যা ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে জনসাধারণের চলাচলের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয়। শুরুতে এটি শুধু উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি) এবং আগারগাঁও এই দুইটি স্টেশনে ট্রেন থামত, এরপর ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ পল্লবী স্টেশন খুলে দেওয়া হয়। এখন এটি বাড়িয়ে রাজধানীর আগারগাও ফার্মগেট সচিবালয় মতিঝিল স্টেশন পর্যন্ত চালু করে দেয়া হয় কিন্তু এটি একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত। ফার্মগেট, সচিবালয়, মতিঝিল, পর্যন্ত মেট্রো চলার শেষ সময়কাল হচ্ছে ১১:২০। কিন্তু এত পরিকল্পিত প্রকল্পনার পরেও যেন দুর্ভোগ কমছে না রাজধানীর সাধারণ যাত্রীদের। গমাগম এবং কোলাহলপূর্ণ পরিস্থিতি যেন শেষই হয়ে উঠছে না এই গণপরিবহন নামক মেট্রোরেলে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.