মোঃ বিশাল উদ্দিন, পবা (রাজশাহী)
রাজশাহীতে বিয়ের নামে প্রতারণা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি কাজী মোকাদ্দিম হোসেন শাওন (৪০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫ এর একটি বিশেষ অপারেশন টিম।
গত ২৪ জুলাই ২০২৫ (বৃহস্পতিবার) রাত ১০টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানাধীন ডিঙ্গাডোবা ঈদগাঁ এলাকা থেকে তাকে র্যাব-৫, রাজশাহী সদর কোম্পানির একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত কাজী মোকাদ্দিম হোসেন শাওন, পিতা মোবারক হোসেন, সইপাড়া, ৫নং বাকশিমইল ইউনিয়ন, মোহনপুর, রাজশাহীর স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি ঐ ইউনিয়নে একজন নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, শাওন অধিক মুনাফার আশায় বিভিন্ন বয়সের ছেলে-মেয়েদের টাকার বিনিময়ে বিয়ের রেজিস্ট্রি করতেন, যা পরে প্রতারণায় রূপ নেয় ইতিপূর্বে অনেক বার জেল খেটেছেন তিনি । এ ঘটনায় মোহনপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলার ভিত্তিতে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর থেকে তিনি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন।
অবশেষে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাজী মোকাদ্দিম হোসেন শাওন প্রতারণার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাকে পরবর্তীতে মোহনপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মোহনপুর থানা ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, কাজি মোকাদ্দিম হোসেন শাওনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শুধু মোহনপুর নয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক প্রতারণামূলক মামলা রয়েছে এই কাজী মোকাদ্দিম হোসেন শাওনের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে জাল দলিল, ভয়ভীতি প্রদর্শন, চাঁদাবাজি ও নারী দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তিনি পূর্বে জেলাও খেটেছেন।
একজন নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে তার দায়িত্বের অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন। তার কর্মকাণ্ড কেবল আইন লঙ্ঘন নয়, নিকাহ ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্টেরও একটি বড় উদাহরণ। তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি, আইন মন্ত্রণালয় ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃক তার সরকারি কাজী লাইসেন্স বাতিল করা জরুরি হয়ে উঠেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.