উৎপল ঘোষ, যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরে চাঁদার দাবিতে দৈনিক ইত্তেঁফাক পত্রিকার অভয়নগর প্রতিনিধি সাংবাদিক বদরুজ্জামানকে অপহরণ মামলায় অভয়নগরের ব্যাপক আলোচিত সমালোচিত ফারুক ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতের সমন জারি হয়েছে।
১৮ ডিসেম্বর রবিবার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভয়নগর আমলী আদালত যশোরের বিচারক মো: মঞ্জুরুল ইসলাম এই সমন জারি করেন। সি.আর-৫৫/২০ মামলার বাদি অভয়নগর উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের পুত্র ও দৈনিক ইত্তেঁফাক পত্রিকার অভয়নগর থানা প্রতিনিধি ডা: বদরুজ্জামান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অভয়নগর উপজেলার পাঁচকবরের মৃত আবুল হোসেন মোল্যার পুত্র ফারুক ওরফে ডিজিটাল ফারুক হোসেন (৩৫), নওয়াপাড়া বেঙ্গলগেটের দেলোয়ারের পুত্র কওছারসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা দৈনিক ইত্তেঁফাক পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় তাদের ভেজাল সারের সংবাদ প্রকাশে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হওয়ায় বাদির কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন বাদির নিকট। এরপর ২৮ জানুয়ারি রাত ৮.০০ টার সময় দৈনিক ইত্তেঁফাক পত্রিকার অভয়নগর কার্যালয় থেকে বাদীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে বিবাদীর ফেরীঘাট কার্যালয়ে আটকে রেখে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। খবর পেয়ে বদরুজ্জামানের সহযোগি সাংবাদিকেরা নগদ ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করেন। বাকি ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পরবর্তী এক মাসের মধ্যে পরিশোধের জন্য আল্টিমেটাম দিয়ে বাদীকে ছেড়ে দেয়।টাকা না দিলে তারা বাদিকে খুন করে লাশ গুম করারও হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা গ্রহন না করায় বাদি বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন। জানা যায়, আসামিরা জামায়াত-বিএনপি'র সময়ে অর্থ সম্পদশালী স্থানীয় পর্যায়ে অতি প্রভাবশালী নেতা, যে কারনে থানা মামলা নেয়নি।
আরও জানা যায় আসামীরা ও তাদের পক্ষের কতিপয় সাংবাদিকের প্রভাবে পুলিশ ইন্সভেস্টিগেশন ব্যুরো(পিবিআই) আসামীদের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এ ঘটনায় বাদী না'রাজী দায়ের করলে প্রায় ৩ বৎসর মামলা চলার পর বিজ্ঞ আদালত ১৮ ডিসেম্বর শুনানি শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারী করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2024 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.