এম.ডি.এন.মাইকেল
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ে ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবীব এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এইসব অভিযোগ করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয় কর্মরত তার সহকর্মীরা।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে তৃতীয় শ্রেণীর পদে চাকরি করা আহসান হাবিব এর রয়েছে অত্যাধুনিক বাড়ি গাড়ি ফ্ল্যাট প্লট ও বিভিন্ন ব্যাংকের নামে কোটি টাকার এফডিআর ও সঞ্চয়পত্র। এছাড়া ওর নামে বেনামে রয়েছে প্রায় কয়েক কোটি টাকা সম্পত্তি।
অভিযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবীব অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় গড়েছেন রাজধানী ঢাকার সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় চারতালা বাড়ি, পুরান ঢাকার নারিন্দা এলাকায় প্রায় কোটি টাকা মূল্যের অত্যাধুনিক ফ্ল্যাট, গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার লাকসামে বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়ি পরিবারের ব্যবহারের জন্য রয়েছে গাড়ি।
সূচতুর আহসান হাবিব পুরান ঢাকার নারিন্দায় নিজের কয়কৃত আলিশান ফ্ল্যাটটি অন্যের কাছে ভাড়া দিয়ে নিজে পরিবার পরিজন নিয়ে নারিন্দা এলাকায় অন্য একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন তার বসবাসরত ফ্ল্যাটটির ভাড়া আনুমানিক ৪০,০০০ টাকার উপরে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবীব এর তিন ছেলের মধ্যে দুই জন লেখা পড়া করে ঢাকার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে আরেক ছেলে সেন্ট জোসেফ স্কুলে অধ্যায়নরত রয়েছে।
অন্যদিকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে জানান,পদ পদবী অনুযায়ী পাসপোর্ট মেকানিক আহসান হাবিবের সরকারি বরাদ্দকৃত গাড়ি গুলো তার ব্যবহারের অনুমতি না থাকলেও তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত গাড়ি নিজের ইচ্ছামতো যখন যেটা খুশি ওই গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন যাহা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি ও সরকারি চাকরির বিধি-বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে নিলাম কয়েকটি গাড়ি বিক্রি করে কর্তৃপক্ষ উক্ত নিলামকৃত গাড়ি থেকে আহসান আবির একটি গাড়ি নিজ নামে ক্রয় করেন এবং উক্ত গাড়ির সকল প্রকার জ্বালানি এবং রক্ষণাবেক্ষণ গাড়ি চালানোর জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ড্রাইভার সহ যাবতীয় খরচ সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবিব এর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ তিনি তার ব্যক্তিগত কাজের জন্য একজন এমএলএসএস কে সার্বক্ষণিক তার ব্যক্তিগত কাজের জন্য ব্যবহার করে থাকেন বিনিময়ে ঐ এমএলএসএস কে তিনি সরকারি অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মচারী বলেন মাত্র ৩০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করে আহসান হাবিব কিভাবে ঢাকায় বাড়ি গাড়ি ফ্ল্যাট প্লট গ্রামের বাড়িতে গ্রামের বাড়িতে ডুপ্লেক্স বাড়ি তিন ছেলের স্বনামধন্য স্কুলে লেখাপড়ার খরচ বহন করেন তা আমাদের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের বোধগম্য নয়।তারা আরও বলেন এহেন দুর্নীতিবাজ গংরা দেশ ও জাতির শত্রু।
অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের বিষয়ে জানতে ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবীবের মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় জানার সাথে সাথে মুঠো ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন,পরবর্তীতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও খুঁদে বার্তা পাঠালেও কোন প্রকার সাড়া পাওয়া যায়নি।
ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবীবের অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আরও সম্পদের অনুসন্ধান চলমান,,,,,
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2024 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.