ভাতের লগে দেহা নাই ছালুন ছালুন করো,
দুক্কের মধ্যে হাত ধইরোনা এইখান থাইক্কা হরো।
বাপজান আমায় দিছে বিয়া দেইখা শিক্ষিত্ পোলা
এহন দেহি চাল চুলা নাই হাতে ভিক্ষার ঝোলা।
শিক্ষা দিয়া পেট ভরে না বেকারের নাই দাম
খুব তো তোমার বাপ দিছিলো বাপজানেরে পাম।
লক্ষ্ণীসোনা বউ;
এমন কইরা রাগ কইরো না মিষ্টি কতা কউ।
সত্তর টেহা চালের কেজি একশত বিশ ডাল
পিঁয়েজ মরিচ সোয়াবিন তেল এক লগে দেয় ফাল।
মাছ, গোশতো, সবজী, ডিমে শীতের দিনেও আগুন
ঘুষখোরদের পোয়াবারো চৈত্র মাসেও ফাগুণ।
বেকারত্বের অভিশাপে পরছি গলায় ফাঁস
চাকরী নিতে টেহা লাগে উঠছে নাভিশ্বাস।
*এই যে, বলি হুনো,
পাতি নেতায় নাম লেহায়ে হাজার টেহা গুনো।
কালা চশমা চোক্কে দিয়া পিস্তল লও হাতে,
অল্প দিনেই মাছ,গোশত লইবা তুমি পাতে।
খিদার জ্বালায় নিত্য দিনই দুইন্না আইন্ধার অয়
পোলা মাইয়ার কষ্ট দেইখ্যা কার পরাণে সয়?
*সাবধান বউ চুপ!
এমন কতা কইবি না আর মাতায় দিমু কুপ।
নীতির লগে হার মানি না গরীব আছি বেশ,
আমলা যারা খুব সুহে থাক্ এইডার আছে শেষ।
গাঁও গেরামে চইল্লা যামু করমু জমি চাষ,
চাকরীর আশা করমু না আর করছি যতই পাশ।
আমার মতন হাজার বেকার হা-হুতাশে মরে,
সোনার হরিণ কয়জনে পায়, কয়জনে পেট ভরে!
বন্ধ যেইদিন অইবো দেশে মামা ভাগ্নের খেলা
পূর্ণিমার চাঁন গিইল্লা খাইবো আইন্ধারের ঐ মেলা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.