মো: নাজমুল হোসেন ইমন, স্টাফ রিপোর্টার
রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার বলেছেন, কাপ্তাই হ্রদ প্রথমে মাছ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে এটি পর্যটন বিকাশে বড় ভূমিকা রাখছে। মানুষ রাঙামাটিতে এসে প্রকৃতি, লেক, ঝর্ণা দেখতে চান এবং খরচ করতে আগ্রহী। কিন্তু আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুত নই। তাই রাঙামাটিকে আরও পর্যটনবান্ধব করে তুলতেই এই প্রশিক্ষণ আয়োজন।
আজ (বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
কাজল তালুকদার বলেন, ইউএনডিপির আইএলও থেকে পর্যটকদের জন্য দিক নির্দেশনা মূলক অফিস তৈরি এবং এর বিভিন্ন শাখা তৈরি করা হবে। যেখানে পর্যটকদের জন্য রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রিক বিভিন্ন দিক নির্দেশনা থাকবে।
রাঙামাটি জেলার পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে প্রথম বারের মতো রাঙামাটি জেলা পরিষদের আয়োজনে ট্যুর গাইড অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
এতে ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা হবে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসে এই প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে সনদ।
জেলা পরিষদের সদস্য ও পর্যটন বিষয়ক পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মো. হাবীব আজম বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্থানীয় যুব সমাজ পর্যটন ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে দক্ষ হয়ে উঠবে। যা রাঙামাটির পর্যটন খাতের সম্ভাবনাকে আরও এগিয়ে নেবে।
জেলা পরিষদের সদস্য মো. হাবীব আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী খন্দকার মো. রিজাউল করিম, রাঙামাটি ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ান, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক মোসা. হাবিবা, জেলা পরিষদের ভূমি কর্মকর্তা উজালা চাকমা, জেলা পরিষদের সদস্য প্রতুল চন্দ্র দেওয়ান, নাইপ্রু মারমা সহ অন্যান্য অতিথি ও প্রশিক্ষণার্থীরা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.