মো:কাওসার,
রাঙ্গামাটি

সুনীল কুমার চাকমা কর্তৃক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বাঙালি কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এর সামনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যােগে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা সভাপতি মো: হাবীব আজম এর সভাপতিত্বে ও পৌর সভাপতি পারভেজ মোশারফ এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি’র) কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান মজিব।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা সহ-সভাপতি কাজী জালোয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, প্রচার সম্পাদক হুমায়ন কবির, পিসিসিপি পৌর সভাপতি পারভেজ মোশারফ হোসেন প্রমুখ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রনি।

বক্তারা বলেন, জুমার নামাজের সময় অভিভাবকরা বাড়ির বাইরে থাকায় খালি ঘরে একা পেয়ে দরিদ্র পরিবারের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণ করার সময় তার শৌরচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হাতেনাতে লম্পট সুনীল কুমার চাকমাকে আটক করে। এ সময় টহলরত নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সুনীল চাকমাকে কিশোরীর ঘর থেকে আটক করা হয়।

এই ঘটনায় ভিকটিম বাঙালি কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে জুরাছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ১০ ধারায় দায়েরকৃত মামলা নাম্বার-১, তারিখ: ২৯/০৯/২০২৩ইং।

আটককৃত সুনীল কুমার চাকমাকে শনিবার রাঙামাটির আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। লম্পট সুনীল কুমার চাকমা জুরাছড়ি উপজেলাধীন ৩নং মৈদং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কাঠালতলী এলাকার দয়াধন চাকমার ছেলে এবং পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।

বক্তারা আরো বলেন, রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলা সদরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনাটি গত ২৯ তারিখে সংগঠিত হয়। পুরো জুড়াছড়ি উপজেলাটি উপজাতীয় বাসিন্দা নির্ভর এবং মাত্র কয়েকটি অতিদরিদ্র বাঙালি পরিবার সেখানে বসবাস করে। আঞ্চলিক উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর রোষানলে পড়ার ভয়ে এনিয়ে জুরাছড়ি উপজেলার কেউই মুখ খুলতে চায়নি।

এদিকে, পাহাড়ে পান থেকে চুন খসলেই নারী সংগঠনগুলো যেখানে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ও উপজাতি সাংবাদিকরা নানা রং লাগিয়ে নিউজ করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে বিতর্কিত করার আপ্রাণ চেষ্ঠা চালিয়ে যায়। সেসকল পাহাড়ি নারী সংগঠনগুলো ও জুরাছড়ির সাংবাদিক বৃন্দ জুরাছড়ির বাঙালি কিশোরীকে জোর পূর্বক ধর্ষণকারী সুনীল কুমার চাকমার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রতিবাদ না করায় ও সাংবাদিকরা নিউজ না করায় তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বক্তারা বলেন, রাউজানের সিবলী সাদিক হত্যাকারীদের ও খাগড়াছড়ির পানছড়িতে বিজিবির উপর উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক হামলাকারীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বাঙালি কিশোরীর সুচিকিৎসা নিশ্চিতসহ এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার মূল হোতা ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সুনীল কুমার চাকমার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান বক্তারা।