এম.ডি.এন.মাইকেল
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মোঃ আব্দুল মোমিন গড়ে তুলেছেন নামে বেনামে অঢেল সম্পদের পাহাড়।রাজউক এর যেই সকল কর্মকর্তাদের ইন্দনে (রাজউক ডাটা এন্ট্রি অপারেটর) মোমিন বর্তমানে প্রায় শতকোটি টাকার উপরে মালিক হয়েছেন সেই সকল কর্মকর্তাদের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে গরিব আব্দুল মোমিনের অঢেল সম্পদের ফিরিস্তি এ যেন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ হাতে পাওয়া সমান।সামান্য বেতনে চাকরি করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭১ নং ওয়ার্ডে ৫ কাঠা জমির উপর "শান্তির নীড় সুলতানা মহল" নামে সাত তলা আলিশান ভবন যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ১৫ কোটি টাকার উপরে।
মোমিনের এই বাড়ি সাত তলা আলিশান ভবনের বিষয়ে স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা বলেন রাজউক এর ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে সামান্য বেতনের চাকরি করে এত বড় ভবন তৈরি করা সম্ভব নয় মোমিন অবশ্যই অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় তৈরী করেছেন এই সাত তলা ভবন এতে কোন সন্দেহ নেই।স্থানীয় বাসিন্দারা আরও বলেন রাজউক হচ্ছে টাকার খনি অনিয়ম দুর্নীতির সমুদ্র তবে আমরা জানতে পারছি বর্তমানে রাজউক চেয়ারম্যান একজন সেনাবাহিনীর লোক তিনি কখনো অনিয়ম-দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবেন না তাই বর্তমান চেয়ারম্যানের আমলে রাজউক থেকে অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে অলরেডি চেয়ারম্যান সাহেব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি এবং আমরা চাই বর্তমান চেয়ারম্যান মহোদয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রেখে রাজউককে দুর্নীতিমুক্ত করবেন।
অনুসন্ধানে জানা যায় ও দেখা যায় কমলাপুর জসিম উদ্দিন রোডে "নকশী কাঁথার মাঠ" নামক নয় তলা ভবনে ১৭২৫ স্কয়ার ফিটের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে আব্দুল মোমিনের ফ্ল্যাট নং বি-৬, এর উক্ত ফ্ল্যাটের বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক তিন কোটি টাকার উপরে।
ফ্ল্যাটের ভিতরে প্রায় কোটি টাকার উপরে আসবাবপত্র।এছাড়াও সাভারের ভাদাইল পুরানো ইপিজেড সংলগ্ন হোসেন প্লাজার পাশে দুই বিঘা জমির উপরে টিনশেড ঘর তৈরী করে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন।বর্তমান বাজার মূল্যের সাভারে মোমিন এর দুই বিঘা জমির দাম আনুমানিক দশ (১০) কোটি টাকার উপরে।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় আব্দুল মোমিন অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় প্রিয়তমা স্ত্রীর নামে রয়েছে রাজউক পূর্বাচলে প্রায় কয়েক কোটি টাকা প্লট।
এছাড়াও নামে বেনামে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার এফডিআর।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান বহুল আলোচিত রাজউকের প্লট কেলেঙ্কারির হোতা গোল্ডেন মনিরের সাথে আব্দুল মুমিনের রয়েছে গভীর সখ্যতা। এই সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর ডাটা এন্টি অপারেটর মোঃ আবদুল মোমিন এর মুঠোফোনে ফোন ও খুঁদে বার্তা পাঠালে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে প্রতিবেদকের সাথে যোগাযোগ করেন এবং ঐ সকল ব্যক্তি প্রতিবেদককে বলেন মোমিনের সংবাদটা প্রকাশিত না করলে ভালো হয়, উত্তরের প্রতিবেদক বলেন মোমিনের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যে সংবাদ প্রকাশিত করা হয় তাহলে মোমিন প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন।
প্রতিবেদকের এমন বক্তব্য শুনে দুর্নীতিবাজ আব্দুল মোমিন প্রতিবেদক এর সাথে সাক্ষাৎ করে বলেন ভাই বর্তমান সময়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত করলে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে দয়া করে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত করবেন না,আপনার যদি রাজউক এর মধ্যে কোন কাজ থাকে আমার কাছে নিয়ে আসবেন আমি করে দিব যেই কোন কাজ!
রাজউক ডাটা এন্ট্রি অপারেটর দুর্নীতিবাজ আব্দুল মোমিন যেই কোন কাজ বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন তা বোধগম্য নয়।এহেন দুর্নীতিবাজ দেশ ও জাতির শত্রু,বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার দুর্নীতিবাজ যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে দুর্নীতিবাজদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।
অনুসন্ধান চলমান,,,,,
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.