নাহিদ জামান, খুলনা
রূপসা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাটির চুল্লিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি মহল কাঠ পুড়িয়ে অবৈধভাবে কয়লা তৈরি করে আসছিল। এতে চুল্লির ধোয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। পাশাপাশি নষ্ট হয় ক্ষেতের ফসল। এমন খবর পেয়ে অবৈধ চুল্লিগুলো বন্ধ করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করার অপরাধে ৩০টি অবৈধ চুল্লি ধ্বংস করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় ও রূপসা উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, খুলনার বিভাগীয় কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম এবং রূপসা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্ত্তী।
এ সসময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমির কার্যালয় ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় গতকাল বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় রূপসা উপজেলার ইলাইপুর, মবিনবাগ এবং চরশ্রীরামপুর এলাকার বিভিন্ন মালিকের নামে বেনামে ৩০টি চুল্লি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয় এবং জব্দ করা কাঠ ও কয়লা স্পট নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালীন অবৈধ চুল্লীর মালিক বা সংশ্লিষ্ট কাউকে আটক বা জরিমানা করা সম্ভব না হলেও পরিবেশ ধ্বংসকারী ৩০ টি কয়লা চুল্লী গুড়িয়ে দিয়েছে। কারণ ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধ উপায়ে কয়লা তৈরির সঙ্গে জড়িতরা পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে রূপসা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অপ্রতিম কুমার চক্রবর্ত্তীর নিকট জনতে চাইলে তিনি বলেন কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির চুল্লির বিষয়ে জানতে পেরে তা ধ্বংস করতে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে জড়িত কাউকে পাওয়া না গেলেও পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহযোগিতায় কয়লা তৈরির ৩০টি চুল্লি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছি ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.