সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেছেন, র্যাব-সন্ত্রাস, জঙ্গী, বনদস্যু, জলদস্যু, মাদক, চেরাচালান নির্মুলে অনন্য ভুমিকা রাখছে। সেজন্য দেশবাসীর কাছে র্যাব একটি আস্থার নাম। এ কারনে চরমপন্থী সর্বহারা সন্ত্রাসীরা আর বিপথগামী না হয়ে অন্ধাকার হতে আলোর পথে ফিরে এসেছে। তাদের আমরা স্বাগত জানাই। এক সময় পাবনা, চলনবিল ও খুলনা কুষ্টিয়ায় নানা নামে চরমপন্থীরা সংগঠিত হলেও তাদের কাজ ছিল একই রকম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শীতায় ‘সন্ত্রাসী পেশা ছাড়ি, আলোকিত জীবন গড়ি’ ১৯৯৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন দক্ষিনাঞ্চলের চরপন্থী সন্ত্রাসীরা প্রথম আত্বসমর্পন করে। তাদের অনেককেই আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ যারা আত্বসমর্পন করছেন তাদেরকে আমরা আইনগত সহ আত্বকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবো। তিনি রবিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় র্যাব ১২ সদর দপ্তরে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল, মেহেরপুর ও রাজবাড়ি জেলার ৩১৫ জন চরমপন্থী সদস্যের আত্বসমর্পন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ভুল বুঝতে পেরে শুধু সর্বহারা সদস্যরাই আত্বসমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে না। ধর্মের অপব্যাখ্যা কারী পথভ্রষ্ট জঙ্গীদেরও আত্বসমর্পন করিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। তবে আত্বসমর্পন কারী জঙ্গী বা সর্বহারা সন্ত্রাসীরা আবারো ভুল পথে ফিরে গেলে তাদের আইনগত ভাবে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
এদিকে আত্বসমর্পন কারী উপস্থিত চরমপন্ত্রী দলের সদস্যরা ভাল হবার এমন সুযোগ পেয়ে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।
এদের কেউ-কেউ অতীত স্মৃতিচারণ করে অন্ধকারের পথে আর ফিরবেন না বলে সরকারের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেনের সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপি, তানভীর ইমাম এমপি, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশের ডিজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আত্বসমর্পন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২১৯টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয় অস্ত্র সমর্পন করে সর্বহারা সন্ত্রাসীরা।
https://youtu.be/qUHL_AoavLU
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.