চীনা কমিউনিটি পার্টি (সিপিসি)-র কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, গত (শনিবার) লুব্লিয়ানায়, স্লোভেনিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকশেষে এক যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে ওয়াং ই বলেন, বৈঠকে একাধিক বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। চীন স্লোভেনিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি। চীনের কূটনৈতিক ঐতিহ্য সর্বদাই একই রকম, আর তা হল: ছোট বা বড় সকল দেশকে সমান গণ্য করা। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক দৃশ্যপট নির্বিশেষে, চীন তার পররাষ্ট্রনীতিতে ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে, ধারাবাহিকভাবে স্লোভেনিয়াকে সমান বিবেচনা করেছে, বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা ও পারস্পরিক সুবিধার নীতি অনুসরণ করেছে, বিভিন্ন আকার ও সামাজিক ব্যবস্থার দেশগুলোর মধ্যে সহাবস্থানের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, চলতি বছর বিশ্বের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধে বিজয়ের ৮০ তম বার্ষিকী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ে চীন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল। অস্থিরতা ও ক্রমাগত সংঘাতের বৈশিষ্ট্যযুক্ত বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে, চীন ও ইউরোপের উচিত পরস্পরের প্রতিপক্ষ হওয়ার পরিবর্তে বন্ধু হওয়া এবং মুখোমুখি হওয়ার পরিবর্তে সহযোগিতা করা।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকীতে, ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও ক্রমবর্ধমান শাসন ঘাটতির প্রেক্ষাপটে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জাতিসংঘের আহ্বান ও সকল দেশের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সাড়া দিয়ে, ‘বৈশ্বিক প্রশাসন উদ্যোগ’ প্রস্তাব করেছেন। এ নিয়ে, স্লোভেনিয়াসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে কাজ করতে চীন ইচ্ছুক, যা আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির জন্য আরও বেশি স্থিতিশীলতা ও আরও বেশি ইতিবাচক শক্তি যোগাবে।
সূত্র:ওয়াং হাইমান-আলিম-ছাই,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.