চট্টগ্রাম জেলায় লোহাগাড়া থানার পশ্চিম কলাউজান মরিয়ম খানম বকুল মেম্বারের ছেলে আসাদুজ্জামান জিকুকে (২৩) ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়, মোশারফ হোসেনে সন্ত্রাসী দল।
ঘটনাটি ৩/১২/২০২৩ইং রাত ৮টার সময় সবুর মার্কেটের সামনে, পশ্চিম কালাউজান, বাংলাবাজারে এই নিশংস ঘটনাটি ঘটে।
জিকু বলেন, ৩ তারিখ বিকেলে পাঁচটার সময় পশ্চমে শাহ মজিদিয়া হাই স্কুলের মাঠে খেলতে গেলে মোশারফ হোসেন ও তার দলবল সহ আমাকে বাধা প্রধান করেন। তৎক্ষণাৎ আমি মাঠ ত্যাগ করি।মাগরিবের নামাজের পর আমিরাবাদ হইতে বাড়িতে যাওয়ার পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছার সাথে সাথেই পূর্ব হইতে উৎপাতিয়া থাকা সমস্ত আসামিগণ আমাকে ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে তারা আমাকে অপহরণ করার উদ্দেশ্যে পশ্চিমের শাহ মজিদিয়া হাই স্কুল মাঠের পিছনে নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে গিয়ে মোশারফ এর দলসহ এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। এবং একপর্যায়ে ১নং মোশারফ হোসেন (২৩)জিকুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সজোরে তার নাকে আঘাত করে, নাক ফেঁটে রক্ত পড়া অবস্থায় জিকু চিৎকার করলে মোশারফ হোসেনের সন্ত্রাসী দল, তার হাত পা বেঁধে মাটিতে ফেলে দেয়, এবং সেই মুহূর্তে মোশারফ হোসেন (২৩) ও ২নং মো: জুনায়েদ (২০) জিকুর তলপেটে চায়না ছুরিদারা আঘাত করে। তারপর বাম পাশে একটা ও ডানপাশে একটা ছুরি ঢুকিয়ে দেয়।৩ নং আসামী শাহীন শাহ(৩২) জিকুর মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে, এবং বাম হাত ভাঙিয়ে দেয়। ৫ নং আসামী আব্দুল গফুর (৩০)ও ৬ নং আসামী মো: রাসেল(৩৫) জিকুর ৫০,০০০ হাজার টাকা ছিনিয়া নেই। জিকুর চিৎকার শুনে তার ভাই রিয়াদ ও মা,মরিয়ম খানম জিকুকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে মোশারফ হোসেন তার ভাইয়ের মাথায় লোহার রট দ্বারা আঘাত করে। এতে জিকুর ভাই গুরুতর আহত হন। ও ৪ নং আসামী মো: ওমর (৩৮) জিকুর মায়ের শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে মোশারফ হোসেনের সন্ত্রাসির দল তৎখনাত পালিয়ে যায়।ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে আসাদুজ্জামান জিকু অজ্ঞান হলে সেখানকার লোকজন, জিকুর মা, ছোটভাই রিয়াদ সহদ্রুত লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। জিকুর আবস্থা গুরুতর হাওয়ার কারনে, লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে রেফার করেন।বর্তমানে আসাদুজ্জামান জিকু ওয়ার্ড নাং ২ বেড নাম্বার ১৬তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এতে ৫নং কালাউজান পশ্চিম বাংলাবাজার আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা জিকুর মা মরিয়ম খানম বকুল (৪৫) বাদী হয়ে চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/৩৭৯/৩৬৫/৫০৬(২)/৩৪ ধারায়ফৌজদারী মামলা করেন। আসামিরা হলেন, ১.মোশারফ হোসেন (২০),
পিতা: ফরিদুল আলম, ২.মো: জুনায়েদ (২০)
পিতা: মহিউদ্দিন, ৩.শাহীন শাহ (৩২)
পিতা : মো: কামাল, ৪.মো: ওমর (৩৮)
পিতা: মৃত মনির হোসেন, ৫. আব্দুল গফুর (৩০) পিতা: মৃত মনির হোসেন, ৬. মো: রাসেল (৩৫) পিতা : মৃত শাহ আলম
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.