বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে শালিসি বৈঠকে বিবাদীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপি সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারসহ ৪ জনকে বিবাদী করে থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। ২৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সন্ধায় থানাধীন খিলা পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, ওই ইউনিয়নের নাহারা পাটওয়ারী বাড়ির মৃত আব্দুল হাকিমের পুত্র মোশাররফ হোসেন আপন বোন একই ইউনিয়নের বেরকী গ্রামের মোঃ মফিজের স্ত্রী মরিয়ম বেগম হতে কতেক ওয়ারিশি সম্পত্তি ক্রয় করেন। সম্পত্তি ক্রয়ের পর দীর্ঘদিন ওই সম্পত্তি বুঝিয়ে না দেয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সত্তার এবং প্রসন্নপুর মোগল বাড়ির মোতালেব হোসেনের পুত্র বিএনপির নেতা মাঈনুল ইসলাম মোগলের শরণাপন্ন হন। তারা বিষয়টি সূরাহা করে দিবে বলে ভুক্তভোগী পরিবার থেকে ৩৫ হাজার টাকা নেন।
ঘটনার দিন ওয়ারিশ মরিয়ম বেগমের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডাকা শালিশে মোশাররফ হোসেন ও তার পরিবার হাজির হলে তুচ্ছ বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। ওই সময় আব্দুস সত্তার, মাঈনুল ইসলাম মোগল এবং ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান খান মোশাররফ হোসেন ও তার স্ত্রী পেয়ারা বেগমকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। হামলার একপর্যায়ে মোশাররফ হোসেন বুকে প্রচন্ড আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটে পড়ে। উপস্থিত লোকজন ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে মোশারফ হোসেনের স্ত্রী পেয়ারা বেগম বাদী ওই ঘটনায় ৪ জনকে বিবাদী করে শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন।
পেয়ারা বেগম জানান, আমাদের সম্পত্তিগত বিরোধ দেখা দিলে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুস সত্তারের কাছে যাই। তিনি বিষয়টা সূরাহা করে দিবে বলে আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ও প্রসন্নপুর গ্রামের বিএনপি নেতা মাঈনুল ইসলাম মোগল ১৫ হাজার টাকা নেয়। তারা বিষয়টি সূরাহা না করে উল্টো আমাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করছে।
তারা মরিয়ম বেগমের জামাতা আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শাহজাহান খানের সাথে যোগসাজশে পূণরায় আমার কাছ থেকে টাকা দাবী করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অ-স্বীকৃতি জানালে এ হামলার শিকার হই। থানায় অভিযোগের পর আমাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমরা উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিককে এ বিষয়ে কেন বলব মন্তব্য করে ফোন কেটে দেন।
শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান, এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.