মোঃ জাহিদ, ঝালকাঠি
ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার নৃত্যপর্বে পূর্ব প্রস্তুতি চলাকালে প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন ৭জন ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে। এসময় ঐ বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ অন্য শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকে হেনস্থা করে স্কুলের লাইব্রেরী কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
বিগত ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামীলীগের টানা ১৫ বছর একই বিদ্যালয়ে কর্মরত নানা দুর্নীতিতে লিপ্ত প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেনকে অবরুদ্ধ করার খবরে স্কুল কম্পাউন্ডে ছুটে আসে আশপাশের স্থানীয় জনতা এবং ছাত্র/ছাত্রীদের অভিভাবকরা। তারা সকলে সেখানে জড়ো হয়ে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে শ্লোগান ও বিক্ষোভ করতে থাকে।
এ অবস্থায় ঝালকাঠি সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলামসহ সদর থানা পুলিশের একটি দল বিদ্যালয়ের লাইব্রেরী কক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে প্রধান শিক্ষককে বহনকারী গাড়ি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা আটকে দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ম্যাজিষ্ট্রেটের গাড়ির মধ্যে বসেই পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন। এর পরেই সড়ক ছেড়ে দেয় আন্দোলনরতরা।
এদিকে প্রধান শিক্ষকের পিটুনিতে আহত ৭শিক্ষার্থী ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। তাদের মধ্যে ৪জনকে ভর্তি রেখে বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে আহত প্রধান শিক্ষককে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেল ৫টায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সাবেক সেনা সদস্য মো. সাব্বির হোসেন জানান, বিদ্যালয়টির ম্যনেজিং কমিটি গঠন নিয়ে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই গ্রুপিং চলছিলো। প্রধান শিক্ষক একটি গ্রুপের মদদদাতা ছিলেন। তিনি মিজানুর রহমান বাদল নামের একজনকে এডহক কমিটির আহবায়ক করে একটি কমিটি গোপনে দাখিল করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.