মো: বেলায়েত হোসেন, শেরপুর
দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক জামালপুর কর্তৃক শেরপুরে বিআরটি অফিসে গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ব বন্ধে এক অভিযান পরিচালনা করেছেন। বুধবার (৭মে) বিকেলে এই অভিযান এক অভিযান পরিচালনা করেন,
দুদক জামালপুরের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
জানা গেছে, শেরপুর বিআরটিএ অফিসে দীর্ঘদিন থেকে দালালদের দৌরাত্ব এবং বিআরটি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ সেবা প্রার্থীদেরকে হয়রানি এবং টাকা না দিলে পরীক্ষার্থীদের ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ চলে আসছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে
বিআরটিএ অফিসে বুধবার বিকেলে দুদকের অভিযান চালায়।
এসময় শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া এলাকার ভুক্তভোগী যুবক আবু হায়াত দুদককে জানান, সে গত সাত মাস আগে সাড়ে চার হাজার টাকা দেয় ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য। পরে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে আরও টাকা দাবি করে তাকে ফেল দেখানো হয়। বিষয়টি দুদক তাৎক্ষণিক যাচায়ান্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পায়।
এ বিষয়ে দুদক জামালপুরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরেই একটি চক্র শেরপুর বিআরটিএ অফিসে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি করাসহ ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ছিল।
বিষয়টি নিয়ে আমরা অভিযানে আসি। বিভিন্ন নথিপত্র দেখে, সরেজমিন পরিদর্শন করে দালালদের দৌরাত্ব এবং অফিসের স্টাফদের যোগসাজশ প্রমাণ মিলে। অভিযানের খবর পেয়ে দালালরা আগেই সটকে পড়ে। সেজন্য আমরা কাউকে আটক করতে পারিনি। বিষয়টি আমরা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করে উপর মহলে প্রেরণ করবো। কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন। এমনটাই জানান, দুদক জামালপুরের উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.